ভিজিটরদের ব্যাপক সাড়া ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলানিউজ অনলাইন লাইভ তারকা আড্ডার দ্বিতীয় আসর। আড্ডায় অতিথি হয়ে আসা শোবিজ-জুটি সারিকা-নিরব অভিভূত হয়েছেন এমন একটি নতুনধারার আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে।
বিশ্বের জনপ্রিয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট প্রায়ই সেলিব্রিটিদের সঙ্গে ভক্ত-ভিজিটরদের অনলাইনে সরাসরি আলাপচারিতা ও আড্ডার আয়োজন করে থাকে। প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের লাইভ তারকা আড্ডার এটি ছিল দ্বিতীয় আয়োজন। প্রথমবার এ আড্ডার হটসিটে ছিলেন পপক্রেজ মিলা।
আড্ডা চলাকালে দুইটি চ্যাট রুমে এক সঙ্গে শতাধিক ভিজিটরের সঙ্গে চ্যাটিংয়ে অংশ নেন হার্টথ্রুব দুই তারকা সারিকা ও নিরব। ৮জন কর্মী এ সময় তাদের সহযোগিতা করেন। একই সময় বাংলানিউজের ওয়েব রেডিওতে ভিজিটরদের পাঠানো নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দেন তারা। আড্ডার ভিডিও ফুটেজ সরাসরি আপলোড করা হয় বাংলানিউজের ওয়েব টিভিতে। দেশ ও দেশের বাইরের লক্ষাধিক ভিজিটর টানা দুই ঘন্টা অনলাইনে সারিকা ও নিরবের সঙ্গে এই জমজমাট আড্ডায়-আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। এ সময় এতো বেশি ভিজিটর একসঙ্গে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম লগ করেন যে, চ্যাটরুমে প্রবেশের জন্য অনেককেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবুও আগ্রহের কমতি ছিল না তাদের। আড্ডার চ্যাটরুম দুটোর নাম দেওয়া হয় সারিকা অভিনীত জনপ্রিয় সিক্যুয়েল নাটক ‘প্রেমের নাম বেদনা’ এবং নিরব অভিনীত সফল ছবি ‘বন্ধু তুমি শত্রু তুমি’।
মিডিয়ার আলোচিত জুটি সারিকা-নিরবের সঙ্গে বাংলানিউজের ভিজিটরদের দুইঘন্টার দীর্ঘ আলাপচারিতার অংশবিশেষ এবং তাদের কাছে করা নির্বাচিত কিছু উত্তর দুইটি চ্যাট রুমের ভিত্তিতে তুলে ধরা হলো।
চ্যাটরুম ‘প্রেমের নাম বেদনা’
এখানে ভিজিটরদের প্রশ্নের উত্তর দেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা।
আজাদ : মডেলিং ও অভিনয় কোনটি আপনার প্রিয়? মডেলিং থেকে অভিনয়ে এলেন কী করে?
সারিকা : পারফর্মিং মিডিয়ার দুটি ধারা হলো মডেলিং ও অভিনয়। দুটোর আমেজ দুরকমের। দুটোতে কাজের আনন্দ দুরকমের। মডেলিং করার সময় মনে হয়, এটাই প্রিয়। অভিনয় করার সময় মনে হয়, এটাই প্রিয়। আমি শোবিজে কাজ করছি প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে। প্রথম তিন বছর শুধু মডেলিং করেছি। শুরুতে আমার পরিচিতি গড়ে ওঠে মডেল হিসেবেই। মডেলিংয়ে একটা জায়গায় পৌছার পর মনে হলো, এখন অন্যদিকে মনোযোগ দেওয়া যায়। এই ভাবনা থেকেই অভিনয়ে আসা। মাত্র দেড় বছর হলো আমি অভিনয় করছি। এখন অভিনয়েই বেশি জোর দিচ্ছি।
রুনু : সারিকা আপু, আপনাকে আজ লাল রঙের পোশাকে দারুণ লাগছে। আপনাকে লাল রঙের পোশাকে প্রায়ই দেখা যায়। আপনার প্রিয় রঙ কী লাল?
সারিকা : ধন্যবাদ রুনু। লাল রঙের পোশাকে প্রায়ই দেখা যায়, এটা ঠিক না। আমি একেক সময় একেক রঙের পোশাক পড়ি। আজ বাংলানিউজ অফিসে আসার আগে কী মনে করে যেন লাল রঙটি বেছে নিলাম। যখন যেটা ভালো লাগে, তখন সেটি পরি। সব রঙই আমার প্রিয়।
রুনু : মিডিয়ায় এসেছেন কার অনুপ্রেরণায়?
সারিকা : আমার মায়ের অনুপ্রেরণায়।
সোহেল : চলচ্চিত্রে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন? আপনি চলচ্চিত্রে এলে হয়তো এই মাধ্যমের চেহারাটা পাল্টে দিতে পারতেন?
সারিকা : চলচ্চিত্রের চেহারাটা পাল্টে দেওয়ার মতো এতো বড় ক্ষমতা বোধ হয় আমার নেই। কখনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করবো না, এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেই নি। আপাতত কাজ করছি না, এটা ঠিক আছে। আমি আসলে যখন যা করি খুব মনোযোগ দিয়ে করি। মডেলিংয়ে পা রাখার প্রথম তিন বছর পুরো মনোযোগ মডেলিংয়ে দিয়েছি। এখন মনোযোগ দিচ্ছি টিভিনাটকে অভিনয়ের প্রতি। এখানে একটা ভালো অবস্থান গড়ে ওঠার পর হয়তো চলচ্চিত্রে কাজ করবো। তবে ভালো ছবিতেই শুধু কাজ করতে চাই।
রাজা : নিরবের সঙ্গে আপনার পরিচয় কীভাবে?
সারিকা : মিডিয়ায় কাজ করতে গিয়েই নিরবের সঙ্গে পরিচয়। যখন নিরবের সঙ্গে পরিচয় হয় তখন আমাকে শোবিজে তেমন কেউ চিনতো না। মাত্র কাজে নেমেছি। নিরব তখনই ছিল দর্শকের সুপরিচিত স্টার।
রাজা : আপনাদেরকে দুজনকে ‘মিডিয়া জুটি’ বলা হয়ে থাকে। কীভাবে এই জুটি গড়ে উঠলো?
সারিকা : আমি মনে করি, আর্টিস্টদের জুটি গড়ে তোলার ক্ষমতা নেই। আসলে দর্শকরাই জুটি গড়ে তুলতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। দর্শকরাই ঠিক করে কার পাশে কাকে মানায় ভালো। দু-একটি বিজ্ঞাপন করার পর আমার আর নিরবের জুটিটা দর্শকেরা পছন্দ করেছে বলেই পরে আমাদের একসঙ্গে অনেক কাজ করার সূযোগ আসে।
কামাল : আপনি এতো সুন্দর কেন?
সারিকা : আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর বলেই আমাকে সুন্দর বলছেন?
আশরাফুল : নিরবের কী কী গুণ আপনাকে মুগ্ধ করেছে?
সারিকা : নিরবের ভেতরের ভালো মানুষটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অফ দ্য রেকর্ড বলছি, নিরবের গুণের তালিকার চেয়ে দোষের তালিকাটাই আসলে অনেক লম্বা। তবে একটা জায়গায় সব দোষ ঢেকে গেছে, সেটি হলো ওর ভেতরের সততা আর সরলতা।
জাকির : আপনার সঙ্গে নিরবের সম্পর্কটা কী বন্ধুত্বের, নকি ভালোবাসার?
সারিকা : দুটোই। কেন বন্ধুত্বের মধ্যে কী ভালোবাসা থাকে না!
শান্তা : ভালোবাসা আর ভালো-বাসা, কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
সারিকা : আমি তো দুটোকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। সবার মধ্যে ভালোবাসা থাকলে তখনই একটি বাসাকে ভালো বলা যায়।
মিলন : আমি আপনার সঙ্গে চ্যাট করার পাশাপাশি ওয়েব রেডিতে আপনার কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছি। একই সঙ্গে বাংলানিউজের ওয়েব সাইটে আপনাদের স্টিল ছবি দেখছি আর ওয়েব টিভিতে দেখতে পাচ্ছি আপনাদের ভিডিও ফুটেজ। কেমন লাগছে অনলাইন লাইভ আড্ডায় অংশ নিতে?
সারিকা : সত্যি এটা অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। এর আগে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও এফএম রেডিওতে লাইভ টক শোতে অংশ নিয়েছি। বিভিন্ন পত্রিকায় টেলিফোনে আড্ডা দিয়েছি। কিন্তু বাংলানিউজের এই আড্ডা বহুমাত্রিক। কথা বলতে হচ্ছে, আবার চ্যাটও করতে হচ্ছে। ভিজিটররা আমাদের আড্ডার ভিডিও ফুটেজও দেখতে পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ভীষন মজা পাচ্ছি।
লাবণ্য : আপনি রূপচর্চার পেছনে প্রতিদিন কতোটা সময় ব্যয় করেন? রূপচর্চা কেন জরুরি?
সারিকা : বাসায় থাকলে রূপচর্চার প্রতি আমি পুরোপুরোই উদাসীন বলতে পারেন। শুটিং থাকলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে মেকআপ নিতে হয়। বাইরে কোথাও যাওয়ার আগে নিজেকে সব সময় সাজিয়ে নিই। রূপচর্চাটা আসলে বেশ জরুরি। একটি ধারালো ছুরি যদি অযত্নে ফেলা রাখা হয়, তাহলে তাতে মরচে ধরে ভোঁতা হয়ে যায়। তেমনি রূপ থাকলেও চর্চা না করলেই নয়।
লাবণ্য : মিডিয়ায় আপনার আইডল কে?
সারিকা : মডেলিংয়ে মৌ আপু আর অভিনয়ে সুবর্ণা আপু।
কিষান : আপনাদের দেশের মেয়েরা মিডিয়ায় কিছুদিন কাজ করার পর মুটিয়ে যায়, এর কারণ কী?
সারিকা : আসলে মিডিয়ায় কাজ করতে করতে একপর্যায়ে ব্যস্ততা এতো বেড়ে যায় যে, অনেকের নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেন না। এটাই মুটিয়ে যাওয়ার কারণ।
কিষান : আপনিও কি মুটিয়ে যাবেন?
সারিকা : আমি আমার নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশ মনোযোগী। এজন্য ডায়েট কন্ট্রোলের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় এক্সারসাইজও করি। কাজেই মনে হয় না যে, খুব তাড়াতাড়ি আমি মুটিয়ে যাবো।
চ্যাটরুম ‘বন্ধু তুমি শত্রু তুমি’
এখানে ভিজিটরদের প্রশ্নের উত্তর দেন জনপ্রিয় মডেল ও নায়ক নিরব।
তামিম : আপনাকে এখন টিভিনাটকে দেখা যায় না কেন?
নিরব : আমি চলচ্চিত্রের প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়েছি। চলচ্চিত্রেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাই। চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হয়ে ওঠার পর টিভিনাটকে কাজ করার জন্য সময় বের করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। আসলে চলচ্চিত্রকেই আমি বেশি প্রায়োরিটি দিতে চাই।
তামিম : মিডিয়ায় কিভাবে আপনার অভিষেক হলো?
নিরব : ২০০৪ সাল থেকে আমি মিডিয়ায় কাজ করছি। প্রথম দিকে বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে র্যাম্প মডেল হিসেবে কিছুদিন কাজ করি। পরে টিভিসি আর টিভিনাটকে অভিনয় করা শুরু করি। এখন মডেলিং আর চলচ্চিত্র নিয়েই আছি।
বান্টি : আমাদের চলচ্চিত্রের এখনকার অবস্থা কেমন?
নিরব : চলচ্চিত্রের অবস্থা এই ভালো আবার এই মন্দ। কখনো আশাবাদী হই। কখনো নিরাশ হই। অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ছবিই মূলধন ফেরত পাচ্ছে না। এসবের মধ্যেও এখনো কিছু ছবি দর্শকরা লুফে নেয়, বাণিজ্যিক সফলতার মুখ দেখে। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের সুদিন আবারও ফিরে আসছে।
আসমানী : সারিকার সঙ্গে কী প্রতিদিনই আপনার দেখা হয়?
নিরব : না, প্রতিদিন দেখা হয় না। তবে সপ্তাহে দু’একবার দেখা হয়। দেখা না হলেও প্রতিদিনই ফোনে একাধিকবার কথা হয়।
আসমানী : অভিনেত্রী সারিকা নাকি মডেল সারিকা, কাকে বেশি মার্কস দিবেন?
নিরব : মডেলিংয়ে সারিকা একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে। অভিনেত্রী হিসেবে এখনও সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। কাজেই মডেল সারিকাকেই বোধহয় বেশি নম্বর দিতে হয়।
আসমানী : দশে কতো দেবেন?
নিরব : দশে আট দেবো। একশতে আশি। লেটার মার্কস।
নিশা : মিডিয়াকে অনেকেই খারাপ বলে, এর কারণ কী?
নিরব : যাদের দৃষ্টিভঙ্গি খারাপ, তারা সবকিছুতে শুধু খারাপটাই দেখতে পায়।
জিনাত : আপনার ‘সূর্য খাঁ’ ছবিটির খবর কী? কবে মুক্তি পাচ্ছে?
নিরব : ছবিটির শুটিং শেষ। এখন চলছে ডাবিংয়ের কাজ। আজকে বাংলানিউজে আসার আগে এফডিসিতে ‘সূর্য খাঁ’ ছবির ডাবিংয়ে অংশ নিলাম। এটি কবে মুক্তি পাচ্ছে, তা ভালো বলতে পারবেন নির্মাতা আর প্রযোজক। তবে আশা করি এবছরই ছবিটি দর্শকরা দেখতে পাবেন।
জিনাত : এ ছবিটিকে নাকি আপনি আপনার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন?
নিরব : ‘সূর্য খাঁ’ ছবিটিকে নি:সন্দেহে ভালো ছবি বলা যায়। এ সময় এধরণের পোশাকি ছবি খুব কম নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এটা কে ঠিক আমি টার্নিং পয়েন্ট বলবো না। চলচ্চিত্রে আমার টার্নিং পয়েন্ট হলো ‘তুমি আসবে বলে ভালোবাসবে বলে’।
নিকিতা : আপনাকে টি-শার্ট পড়তে বেশি দেখা যায়। টি-শার্ট কি আপনার প্রিয় পোশাক।
নিরব : ঠিক প্রিয় পোশাক না বললেও টি-শার্ট পড়ে গরমে স্বাচ্ছন্দে থাকা যায়।
নিকিতা : আপনাকে আজকে কেমন যেন, ক্লান্ত দেখাচ্ছে। কারণ কী?
নিরব : আমার গায়ে জ্বর। আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার লোভ সামলাতে পারি নি বলেই অসুস্থতা নিয়েই এই আড্ডায় যোগ দিতে এসেছি। তাই হয়তো খানিকটা কাহিল দেখাচ্ছে।
লাবিব : চলচ্চিত্রে আপনার আইডল কে?
নিরব : চলচ্চিত্রে আমার আইডল হলেন প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ। তার অভিনীত ছবি দেখেই আমি আসলে চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি। সালমান শাহ তার সময়েই এতোটা স্মার্ট ছিলেন যে, আমরা এখনকার কোনো নায়কও তার সেই স্মার্টনেসের কাছাকাছি পৌছাতে পারি নি।
যৌথ প্রশ্ন যুগল উত্তর
বাংলানিউজের দুটো চ্যাট রুমেই পাঠকের কাছ থেকে এমন কিছু প্রশ্ন এসেছে, যার উত্তর সারিকা-নিরব দুজনই দিয়েছেন।
এনা : এগারো এগারো এগারো, এগিয়ে আসছে। এই বিশেষ তারিখে সত্যিই কী কোনো ঘটনা ঘটবে?
সারিক : তারিখটি সুন্দর সন্দেহ নেই। কিন্তু এই তারিখে আমরা বিয়ে করছি, এটা পুরোপুরিই ভিত্তিহীন। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এটা ছড়িয়েছে, জানি না।
নিরব : এজন্য তো কেউ কেউ বঙ্গবন্ধু সম্মেলনকেন্দ্র আমাদের নামে ভাড়াও করে ফেলেছেন। কিন্তু ভাড়ার টাকাটা আমি বা সারিকা আর আমাদের দুজনের পরিবারের কেউই দেননি। কাজ নিয়ে আমি এবং সারিকা এখন বেশ ব্যস্ত। এটা আমাদের রাইজিং টাইম। তাই বিয়ে নিয়ে আমরা দুজনের কেউই আপাতত ভাবছি না।
রেহানা : ভালোবাসার সংজ্ঞা কী?
নিরব : পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি আর সহমর্মিতা। সুখে-দুখে পাশে থাকার অঙ্গীকার। এরই অপর নাম ভালোবাসা।
সারিকা : একে অন্যকে আয়নার মতো বুঝতে পারাটাই আমার কাছে ভালোবাসা।
জামিল : আপনাদের যদি একদিনের জন্য দেশের সব ক্ষমতা দেওয়া হয়, আপনি কি করবেন?
নিরব : একদিনের ক্ষমতা পেয়ে কী করবো না করবো ভাবতে ভাবতেই তো দিন শেষ। কিছু করার সুযোগই পাবো না। তারপর সারাজীবন আফসোসে থাকবো, সব ক্ষমতা পেয়েও কিছুই করতে পারলাম না।
সারিকা : ক্ষমতা পেলে আমি অন্তত একটা কাজ করতে চাই। সেটা হলো, সব শিশু যেন পড়াশোনার সুযোগ পায় তার জন্য একটি স্থায়ী আইন তৈরি করা।
আসাদ : দেশ ও জাতির প্রতি আপনাদের কমিটমেন্ট কী?
নিরব : আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ কাজটা সুন্দর করে সুষ্ঠুভাবে করি তাহলেই দেশ ও জাতির প্রতি কমিটমেন্ট পালন করা হবে বলে মনে করি।
সারিকা : অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পান একেকজন শিল্পী। ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে তাই মানুষের জন্য কিছু প্রতিটি শিল্পীরই দায়িত্ব। সময় ও সুযোগ পেলে নিজেকে দেশের কাজে যুক্ত করতে চাই। স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর দেশের।
ভাগ্যবান পাঠক
প্রথম অনলাইন লাইভ আড্ডার পর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বাংলানিউজে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়। পাঠকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পপক্রেজ মিলার পর কোন সেলিব্রিটিকে আড্ডায় দেখতে চান? দেশের জনপ্রিয় সব তারকার নাম উল্লেখ করে পাঠকের কাছ থেকে প্রায় আড়াই হাজার মেইল আসে। যার মধ্যে প্রায় ৪০% পাঠক সারিকা ও নিরবের নাম পাঠান। তারকা নির্বাচনে অংশ নেওয়া পাঠকদের মধ্যে লটারিতে উঠে আসে ঢাকার জিগতলার পাঠক রাহিতুল ইসলাম রুয়েলের নাম। তাকে এবারের আড্ডায় আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসা। প্রিয় তারকার হাত থেকে পুরস্কার হিসেবে তিনি গ্রহণ করেন একটি এইটজিবি পেনড্রাইভ। প্রিয় তারকার সঙ্গে তিনি পান ডিনারে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
দরোজার ওপাশে
বাংলানিউজ অনলাইন আড্ডা সফল করে তুলতে এবার ২২ সদস্যের একটি টিম কাজ করেছে।
এই টিমে টেকনিক্যাল কাজ করেছেন আবিদুর রহমান রাসেল, জিকরুল আহসান শাওন, নাসিরুল আকবর খান উপল, গৌতম পাল ও রেজাউল করিম ও তাজবীর হাসান সাকিব হেড অব সোসাল মিডিয়া মাকেটিং ।
ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সিরাজুল ইসলাম সুমন, মোশাররেফা কণা, মারিয়া সালাম, রবাব রঁসা, সঞ্জয় বিশ্বাস, মিতু, আরিফ আরমান, অনন্যা আশরাফ ও নাসির।
চ্যাটরুম পরিচালনা করেছেন শেরিফ আল সায়ার, সুমী, তিলকা, জনি সাহা ও জাবেদ ইকবাল।
ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করেছেন যথাক্রমে শোয়েব মিথুন ও নাজমুল হাসান।
সমন্বয় ও সঞ্চালনায় ছিলেন বিনোদন বিভাগের প্রধান বিপুল হাসান।
পুরো আয়োজনের নেপথ্যে ছিল যার প্রণোদনা, তিনি হলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের এডিটর-ইন-চিফ আলমগীর হোসেন।
বাংলাদেশ সময় ০৫২০, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১১