ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

দূরে রাখুন কর্মক্ষেত্রের ক্লান্তি

মারিয়া সালাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০

যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে আমাদের কর্মক্ষেত্রের পরিধি এবং ব্যস্ততা। এখন আর সেই আগের মতো ঘড়ি বেঁধে ৯টা ৫টা অফিসের কথা ভাবা যায় না।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষ সবাইকেই দিনের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় অফিসেই কাটাতে হয়। একটানা কাজের চাপে প্রায়ই আমাদের শরীর ও মনে নেমে আসে ক্লান্তি, নষ্ট হয় কর্মস্পৃহা । অথচ ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চললেই একটানা কাজের চাপ আর ক্লান্তি থেকে রক্ষা পেতে পারি বেশ সহজেই, করতে পারি আরও অনেক কাজ।

আসুন জেনে নিই ক্লান্তি দূর করার সহজ কিছু উপায়:

১.    সবচেয়ে বড় উপায় প্রয়োজনমতো ঘুম। রাতে ঠিকমতো ঘুম হলে সারা দিনই শরীর-মনে সতেজ ভাব থাকে, খুব সহজেই ক্লান্তি আসে না। তাই যত ব্যস্তই থাকুন, চেষ্টা করুন রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা লম্বা একটা ঘুম দেওয়ার।
২.    সকালের নাশতার ব্যাপারটাও কিন্তু ফেলনা বিষয় নয়। দিনের শুরুতেই পর্যাপ্ত আহার আপনার শরীরে এনে দেবে বাড়তি কাজ করার ক্ষমতা। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর সকালের নাশতা একদিকে শরীরে জোগান দেবে বাড়তি শক্তি, অন্যদিকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকেও ঠিক রাখবে দীর্ঘসময়।  
৩.    কাজের ফাঁকে স্বল্প বিরতি দিন। একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ না করে, মাঝে মাঝে মিনিট দশেকের জন্য কাজ বন্ধ রেখে সামান্য বিশ্রাম নিন। একঘন্টা কাজ করে ৫ বা ১০ মিনিটের জন্য হেঁটে আসুন অফিসের করিডোরে বা বারান্দায়, খোলা বাতাসে লম্বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে নতুন উৎসাহে নেমে পড়ুন কাজে।
৪.    চা বা কফি পান করার অভ্যেসটাও এ সময় দারুণ কাজে দেবে। বিরতির সময় এক কাপ চা বা কফি পান করুন, দেখবেন মুহূর্তেই ফ্রেশ আর হালকা লাগবে। তবে অতি চা বা কফি পানে হিতে বিপরীতও হতে পারে। সেজন্য প্রতিদিন চা বা কফি ৩ থেকে ৪ কাপে সীমাবদ্ধ রাখুন।
৫.    অফিসের একঘেয়ে ভাব দূর করতে কাজের ফাঁকে সহকমীঁদের সাথে কিছুক্ষণের জন্য কুশল বিনিময় করতে পারেন। সহকর্মীর সাথে দু-একটা সৌজন্যমূলক কথাবার্তাও নতুন করে কর্মপ্রেরণা জোগাতে পারে । তবে সবসময় মনে রাখতে হবে কাউকে বিরক্ত করা যাবে না একদম। নিজের কাজ ফেলে বা আরেকজনের কাজের মাঝে তাকে মোটেও বিরক্ত করা যাবে না ।

পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে এবং প্রয়োজনীয় সব উপাদান হাতের কাছে গুছিয়ে রাখলে অনেক কষ্টসাধ্য কাজও সহজ হয়ে যায়। একেকজনের কাজের ধরন এবং চাপ একেক রকম। নিজের কাজের ধরন আর চাপের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে খুঁজে নিন আপনার কান্তি দূর করার উপায়, উপভোগ করুন অফিসের লম্বা মুহূর্তগুলো ।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১০০, সেপ্টেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।