মনে করে দেখুন, ছোট শিশুরা হাঁটা শেখার পর প্রথম বাবা মায়ের কাছে যে জিনিসটি শখ করে চায় তা হচ্ছে একটি বাই সাইকেল। অনেকে স্কুলেও যায় সেই প্রিয় সাইকেল নিয়ে।
তবে আজকাল বিভিন্ন আবাসিক এলাকার প্রশস্ত রাস্তায় তরুণ-তরুণীদের সকাল-সন্ধ্যায় সাইকেল চালিয়ে ব্যায়াম করতে দেখা যায়। আমরা কি জানি, সহজ ও কম খরচে, সাইক্লিং হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম?
ব্যায়াম হিসেবে সাইক্লিং-এর উপকারিতা:
পেশী শক্তিশালী করে- সাইক্লিং শুধু পায়ের ব্যায়াম নয়। নিয়মিত সাইকেল চালালে আমাদের শরীরের প্রতিটি পেশীতে চাপ পড়ে, ফলে পেশী সুগঠিত ও শক্তিশালী হতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমে- সাইক্লিং আমাদের হার্ট, ফুসফুস এবং রক্তচাপের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। আর এভাবে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি- আমাদের কাজ করার জন্য যে স্ট্যামিনা প্রয়োজন হয়, নিয়মিত সাইক্লিং থেকে আমরা সেই কর্মস্পৃহা পেয়ে থাকি। যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষে দ্রুত পৌঁছতে সাহায্য করে।
চাপ কমায়- খোলা আকাশের নিচে, গাছে ঘেরা রাস্তায় সাইকেল চালালে প্রকৃতির সাথে আমাদের বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এতে করে মাথা থেকে দুশ্চিন্তাগুলো বাতাসের সঙ্গে মিলিয়ে যায়। ফলে মানসিক চাপ কমানোর জন্য এটি খুব ভালো একটি উপায়।
শরীরের মেদ কমে- নিয়মিত সাইক্লিং-এ আমাদের শরীরের বাড়তি মেদ কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কার্ডিও – সাইক্লিং-এর ফলে আমাদের শ্বাস এবং হার্ট বিট উন্নত হয়।
সাবধানতা
শহরের ব্যস্ত রাস্তায় সাইক্লিং করা সহজ নয়। এক্ষেত্রে নিজের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইকেল কেনার সময় নিরাপত্তা গিয়ার ঠিক আছে কিনা চেক করে নিন। সব সময় রাস্তার একপাশ দিয়ে সাইকেল চালাতে হবে। বাই সাইকেল চালালেও ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। কখনোই খুব দ্রুত সাইকেল চালানো যাবে না। হেলমেট ব্যবহার করুন।
সাইকেল চালানোর সময় অনেক ঘাম হয়। তাই ক্লান্তি দূর করতে সঙ্গে এক বোতল পানি বা জুস রাখুন।
বাজেট
ফনিক্স, এমটিভি, হারকিউলিক্স, হিরো, ফায়ারফক্সসহ ভালো মানের একটি সাইকেল কিনতে পারবেন ৫ থেকে ২০ হাজার টাকায়। ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, নিউমার্কেট, বংশালসহ দেশের ছোট বড় সব শহরেই দেশি বিদেশি ব্র্যান্ডের সাইকেল পাওয়া যায়।