জীবনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে প্রতিটা মানুষকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নামতে হয়। এই লড়াইয়ের পেছনে কাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা এবং সেইসাথে তাগাদা থাকে আরও কিছু মানুষের ভরণপোষনের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার।
কাজটা ভাল লাগুক আর মন্দ লাগুক জীবনের তাগিদে তা করে যেতে হয়। সময় গড়াতে গড়াতে একসময় কাজের সেই স্থান, সেই মানুষগুলো জীবনের সবচেয়ে সুন্দরতম অংশ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের অভ্যাস, চেনাজানা পরিসর ছেড়ে যখন অবসরে যাওয়ার সময় হয় তখন মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। মস্ত পৃথিবীটা হঠাৎ করে গুটিয়ে ছোট্ট হয়ে যায় ,অবসরে যাওয়া মানুষগুলো বড় নিঃসঙ্গ বোধ করেন।
অবসরকালীন সময়ে মানুষের ভেতরে অনেকগুলো পরিবর্তন ঘটে। সকালে নিয়ম করে কর্মক্ষেত্রে যাওয়াতে যেমন বিচ্যুতি ঘটে তেমনি শারীরিক ভাবেও এই বিষন্নতা তাদেরকে প্রভাবিত করে। অনেক সময় তারা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েন। ভাবেন পৃথিবীতে বুঝি তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। মৃত্যু দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে। আরও কত কি। অবসরে যাওয়া মানুষটিকে এসব বিচ্ছিন্ন চিন্তা থেকে দূরে রাখার একটা বড় উপায় হল তার মতামতকে সম্মান জানানো।
এটি পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখতে হবে। অগ্রজ সেই মানুষটি যাতে আনন্দে থাকতে পারেন সেজন্য তাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
- স্বাস্থ্য সম্মত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- রিলাক্সেশনের জন্য মেডিটেশন,ইয়োগা,ব্রেদিং এক্সারসাইজ,বাইড্রোথেরাপি,অ্যারোমাথেরাপি নিতে পারেন।
- অবসর হল সুন্দর একটি স্বাধীনতা যখন মানুষ ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ানোর সময় পায়
- সুন্দর সব স্থান ভ্রমন হয়ে উঠতে পারে অন্যতম আনন্দের উৎস
- অবসরে প্রচুর বই পড়তে পারেন
- জীবনের এতোটা সময় পার করার পর আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক সমৃদ্ধ। এই সময়টা লিখেও কাজে লাগাতে পারেন
- যেহেতু বয়সটা বাড়ছে সুতরাং শরীরকে সুস্থ ও কার্যক্ষম রাখতে হবে
- নিয়মিত ব্যায়াম ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
- শরীরকে সবল রাখবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে গিয়ে পুরাতন বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ এবং তাদের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক্য রক্ষা হতে পারে উত্তম বিনোদন
সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে যুক্ত করে সময়টিকে সুন্দর করে তুলতে পারেন। নিজেকে যে কোন কাজে ব্যস্ত রাখলে মস্তিস্ক সচল থাকবে,অবসাদ ঘিরে ধরবে না।