একটি গল্প দিয়ে শুরু করা যাক।
এক ভাতিজা তার চাচাকে এসে বলছে, চাচা আমি এমবিএ শেষ করেছি।
ভাতিজা: আমি একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরিও পেয়েছি
চাচা: তাই, তবে চাকরি পাওয়ার চেয়ে চাকরি চলে যাওয়া সহজ
ভাতিজা: চাচা আমি অফিসের কাজে ব্যাংকক যাচ্ছি, অফিসই সব খরচ দিচ্ছে
চাচা: ব্যাংকক তো ভালো জায়গা না। ওখানে শুনেছি শুধু জুয়ার আড্ডা চলে।
কি মনে হচ্ছে? আমাদের চারপাশে এই চাচার মতো অনেক মানুষ আছেন যারা কোনো কিছুই ভালো চোখে দেখেন না। অথবা কারও কোনো সাফল্যে অভিনন্দন জানানোর পরিবর্তে এমন কথা বলতে থাকেন যে তার মনটাই খারাপ হয়ে যায়। অনেক সময় আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরে।
আসলে বন্ধুরা, যারা জীবনে অসফল তাদের মধ্যেই এই সীমাবদ্ধতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। কারণ অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে তারা হতাশ হয়ে যান।
এসব সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসতে:
- প্রথমত ভালো চিন্তা করতে হবে
- অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে
- কোনো কাজকেই ছোট করে দেখা ঠিক নয়
- মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে
- বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে
- পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে
- স্বার্থক মানুষের জীবনী সম্পর্কে জানতে হবে
- কোনো বিষয়ে চেষ্টা করে সফল না হলে ভেঙ্গে পড়া যাবে না
- ধৈর্য ধরে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে শিখতে হবে
- সব বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে
- প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রেখে শরীরচর্চা, গান শোনা অথবা মেডিটেশন করতে হবে।
যারা অন্যের সাফল্যে প্রশংসা করতে কার্পণ্য করে তারা কখনো ভালো বন্ধু হতে পারে না। অার বন্ধুহীন জীবন একসময় দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। আমরা প্রয়োজনে দ্বিমত পোষণ করবো তবে, অবশ্যই ইতিবাচকভাবে ।