‘‘বল বীর, বল উন্নত মম শির
শির নেহারী আমারি নত শির ঐ শিখর হিমাদ্রীর ’’
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমর এই কবিতাটির কথা কারও অজানা নয়। অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে লড়াই করার প্রেরণা দেয় কালজয়ী এ কবিতাটি।
বর্ণিল মনোমুগদ্ধকর এই আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক রশিদ হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সাজ্জাত শরীফ এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ক্যামব্রিয়ান কলেজের লায়ন চেয়ারম্যান এম.কে. বাশার ।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলা ভাষা শিক্ষক পর্ষদের সভাপতি ড. আয়েশা বেগম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্রোহের শিহরণ জাগানীয়া বিদ্রোহী কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান এটিএন বাংলার আমরা করবো জয় খ্যাত শিশু শিল্পী ইসরাত জাহান ইমা। বিদ্রোহী কবিতার উত্তাল ছন্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে অডিটোরিয়াম।
বক্তব্য রাখেন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খানম, ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম মোল্লা, উপাধ্যক্ষ ড. আকবর হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এম.কে বাশার বাউলি সংস্কৃতি বিনির্মাণে নজরুলের অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে বেশ কিছু কবিতা শ্রোতাদের পাঠ করে শোনান।
সাজ্জাত শরীফ তার বক্তব্যে ১৯২১ সালে কমরেড মোজাফরের সঙ্গে থাকা অবস্থায় বেলতলায় রাত জেগে বিদ্রোহী কবিতার জন্মের পটভূমির কথা তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলা সংস্কৃতিকে রবীন্দ্রনাথের বলয় থেকে প্রথম বের করে আনেন কবি নজরুল। তার কলম সাম্যের কথা বলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। শুধু তাই নয় প্রেমের কথাও বলে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আয়েশা বেগম সকল মিথ্যা, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আজকের তরুণদের নজরুলের জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি।
আলোচনা পর্ব শেষে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে পারফর্ম করেন ক্যামব্রিয়ান কলেজের সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা । ইমার পরিবেশনায় মানুষ কবিতাটির আবৃত্তি দর্শদের মাঝে পিনপতন স্তব্ধতা সৃষ্টি করে এর পর এক দল ক্ষুদে শিল্পীর নুপুরের ঝংকারে প্রকম্পিত হয় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়াম। নান্দনিক সাজ-সজ্জায় শুকনো পাতায় নুপুর পায়ে গানটির নৃত্য পরিবেশিত হয় ।
এরপর মঞ্চে আসেন চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ খ্যাত আশা। লৌহকপাট গানটি তালে তালে দলীয় নৃত্য পরিবেশনায় অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।