বাঙালি উৎসব প্রিয়, আজ এখানে তো কাল ওখানে, অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও সামাজিকতা রক্ষায় অনুষ্ঠানে যেতেই হয়।
উৎসবের ধরণ বুঝে নির্দিষ্ট দিনে অফিসে যাওয়ার আগেই সব গুছিয়ে নিতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় আগের রাতেই ঠিক করে রাখুন কেমন করে উৎসবে যাবেন। সকালে সেই অনুযায়ী প্রস্তুত হয়ে বাড়ি থেকে বের হন।
সারাদিন অফিস করার পর কর্মক্ষেত্রের ক্লান্তি দূর করে সতেজ স্নিগ্ধ সাজে সময় মতো উৎসবে উপস্থিত হতে যা করতে হবে:
* উৎসবে যাওয়ার পোশাক পরেই অফিসে যান
* নারীকে শাড়িতে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়, তাই শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে
* এক্ষেত্রে জামদানি, ক্রেপ, জর্জেট বা ঐতিহ্যবাহী যে কোনো শাড়ি বেছে নিতে পারেন
* শাড়ির সঙ্গে হালকা গয়না পড়লে সৌন্দয্যে পূর্ণতা আসবে। সোনা, মুক্তা, হীরা বা পাথরের ছোট কানের টপ পরা যেতে পারে
* গলায় চিকন চেইনের সঙ্গে ছোট্ট লকেট বা পেনডেন্ট পরতে পারেন
* হাতে ব্রেসলেট বা এক হাতে ঘড়ি কিংবা দুটি চুড়ি পরলে ভালো দেখাবে
অফিস শেষে উৎসবের জন্য সাজগোজ:
* ফেসওয়াশ বা ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন
* এবার শুষ্ক ত্বক হলে হালকা করে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগিয়ে নিতে পারেন
* এরপর কমপ্যাক্ট পাউডার মুখে ব্যবহার করুন
* চোখে কাজল, মাশকারা ও আইলাইনার লাগান
* যেকোনো হালকা রঙের লিপস্টিক বা লিপগ্লস দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়ে নিন
* পোশাক ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাগ নিন ও জুতা পরুন
* ব্যাগে পারফিউম ও একটি চিরুনি রাখতে ভুলবেন না
* চুল ছেড়ে রাখতে পারেন। আর যদি চান ব্যান্ড দিয়ে আটকেও দিতে পারেন।
মারিয়া সালাম পেশায় একজন সাংবাদিক, প্রায়ই তাকে অফিসের পরে বিভিন্ন পারিবারিক এবং সামাজিক উৎসবে যেতে হয়। অফিস থেকে উৎসব বাড়িতে যাওয়া প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, উৎসব বুঝে পোশাক বাড়ি থেকেই পরে নেই। আর সাজগোজের জন্য ছোট একটি বক্সে প্রয়োজনীয় সব কিছু এবং গয়না সঙ্গে আনি। অফিসের পর ঝটপট প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত সময়ে যেন উৎসবে যেতে পারি এজন্য একটু সময় নিয়ে বের হয়ে যাই।