আমরা পবিত্র রমজান মাসের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। আমাদের অপেক্ষার পালা শেষে মহান আল্লাহর রহমতে আবার রমজান মাস এসেছে।
তবে গরমে প্রায় ১৪ ঘণ্টা রোজা রাখতে গিয়ে এবার অনেকেই বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। অনেকের আবার পানিশূন্যতা, বুকজ্বলা কিংবা মাথাব্যথার মতো নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এসব শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থেকে রোজা পালনের জন্য আমরা নিচের নিয়মগুলো মেনে চলতে পারি।
- বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া অথবা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
- যেসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকে এগুলো খাবেন না
- সেহরি ও ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়
- ইফতারে খেজুর, শরবত অথবা জুসের পাশাপাশি গ্লুকোজের শরবতও পান করতে পারেন
- সেহরিতে ভাত, রুটি, মসুর ডাল, শাকসবজি বেশি পরিমাণে খান। এ খাবারগুলো পাকস্থলীতে পরিপাক হতে অনেকক্ষন সময় লাগে
- সেহরি ও ইফতারের মাঝে প্রচুর পানি পান করুন
- বাজারে এখন অনেক ফল পাওয়া যাচ্ছে চেষ্টা করুন প্রতিদিনের ইফতারে কয়েক ধরণের ফল রাখতে
- রাতের খাবারে ভুনা মাংস, পোলাও জাতীয় খাবার রোজা রেখে না খাওয়াই ভালো, এগুলো খেলে বেশি পানির তেষ্টা পায়
- অতিরিক্ত চা ও কফি খাওয়া ঠিক নয়
- বাইরে অনেক লোভনীয় ইফতারের পসরা সাজানো থাকলেও ঘরে তৈরি খাবারই স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর
- অনেকেই ঘুম থেকে জেগে সেহরি খেতে চান না, সেহরি না খেয়ে রোজা রাখলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে যায়
- একটু কষ্ট হলেও সেহরি খেতে হবে।
এতোক্ষণ আমরা রোজায় ক্লান্তিহীন থাকতে খাবারের কথা জানলাম। আরও কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো, রোদে বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন
দিনে দুইবার গোসল করুন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ওযু করা ছাড়াও বার বার ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা অন্য কোনো অসুখ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, রোজা রেখে নিয়মিত ওযুধ খাওয়ার সময় ঠিক করে নিন।
ওপরেরর বিষয়গুলো মেনে চলে, সুস্থ্ ও ক্লান্তিহীন ভাবে রোজা পালন করি।