যখন আকাশের ঘন কালো আঁধার করা মেঘের রাজ্যে ডানা ঝাঁপটাতে পাখির আর ভালো লাগে না, তখন তৃর্ষ্ণার্ত পায়েল পড়া পাখির খুব সাধ জাগে রিমঝিম বৃষ্টির গানের সুরে ভিজতে কিংবা অপলক দেখতে রোদ্দুর হাসি।
বৃষ্টি, রংধনু কিংবা রোদ নামধারী ওরা সবাই আসলে পাখির বন্ধু, কখনও বা আঁধার করা মেঘও।
বন্ধুত্বের দুয়ার এতটাই বিশাল যে, বয়স, ধর্ম, গোত্র হিংসা, স্বার্থপরতা, লোভ, সব কিছুর উর্ধ্বে পবিত্র এই সম্পর্ক হয়ে থাকে বাবা- মায়ের সাথে, ভাই-বোনের সাথে, সহপাঠীর সাথে, সহকর্মীর সাথে, বিশ্বের অন্য প্রান্তে না দেখা কারও সাথে কিংবা কাজের ফাঁকে প্রিয় লেখকের কোনো উপন্যাস বা কবিতার বইয়ের সাথে, অথবা গরম গরম এক চুমুক চায়ের কাপের সাথে, আবার কখনওবা গিটারের টুং টাং আওয়াজের সাথে, কিংবা শখের ডায়রির সাথে, এমনকি হতে পারে মায়াবী স্নিগ্ধ প্রকৃতির সাথেও।
চলো বন্ধু, আমরা সাম্যের গান গেয়ে দুঃখের অবসান ঘটিয়ে আবারো ছিনিয়ে আনি নতুন সূর্য। সকল বন্ধু সকল বন্ধুর পাশে থেকে ঐক্যের টানে ভালোবাসার আহ্বানে হাত বাড়িয়ে দিই সেই বন্ধুটির দিকে যার খুব প্রয়োজন শুধু একটুখানি ভালোবাসার পরশ। হয়তবা এর বিনিময়ে সে আবারও ফিরে পাবে নিজেকে, জেগে উঠবে বাঁচার সাধ, তার চোখ জোড়া খুঁজে ফিরবে রঙধনুর সাত রঙ!!!
সবাইকে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা ...