সময় বদলে গেছে কিন্তু আমরা আজও মনে-প্রাণে বাঙালি। তবে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই হারাতে বসেছে।
পহেলা বৈশাখের সকালে পান্তাভাত আর ইলিশ খেতে মাটি, কাঠ, বাঁস-বেত বা কাঁসার পাত্রের ব্যবহার করে কংক্রিটের শহরে ব্যস্ত জীবনেও আমরা দেশীয় ছোঁয়া আনতে পারি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্নরকম দেশীয় উপাদানে তৈরি তৈজসপত্রের খোঁজখবর:
বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর বিপরীতে, কলাবাগানের ফুটপাতে, ঢাকা কলেজের সামনের ফুটপাতে, আসাদ গেট এলাকায়। এছাড়া আমাদের বেশকিছু দেশীয় ফ্যাশন হাউসের রয়েছে মনকাড়া মাটির, কাঁসা বা বেতের সামগ্রী। এর মধ্যে আড়ং, যাত্রা, ক্লে-ইমেজ হ্যান্ডমেইড সানরাইজ প্লাজার সিরমিক, মিরপুরের শিল্পচর্চা, মোহাম্মদপুরের আইডিয়া ক্রাফটস, শাহবাগ আজিজ মার্কেটে আইডিয়াস কর্নারসহ বেশকিছু দোকান রয়েছে যেগুলোতে মাটি বা কাঁসার জিনিসপত্র পাবেন।
এছাড়াও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বেশকিছু জায়গায় পেয়ে যাবেন পছন্দের পণ্যটি। নকশা শিল্পীদের মনমাতানো উপস্থাপনের বহি:প্রকাশ পাবেন এসব সামগ্রীতে। আড়ংয়ে রকমারি ডিজাইনের মাটির মগ, গ্লাসের দাম পড়বে ৩০-৫০ টাকা, জগ ১০০-১২০ টাকা, মাটির চমৎকার থালা ৭০-১২৫ টাকায়, পান্তা খাবার সানকিগুলো পাবেন ৫০ টাকার মধ্যেই ছোট পিরিচের দাম পড়বে ২৫-৪০ টাকা, ঢাকনাসহ কারি ডিশ পাবেন ৫০-১২০ টাকায়। মাটির কাপ-পিরিচ ২০-৪০ টাকা, বিভিন্ন সাইজের মাটির বাটি পাওয়া যাবে ৩০-১২০ টাকায়।
এছাড়া কাঠের প্লেট পাবেন ২০০-৫০০, ট্রে ৩৫০-৭৫০, চামচ ১০০-২৫০, বাটি ১৯০, বোল ২৫৫।
নারকেলের খোলের তৈরি চামচ ২০- থেকে ১০০ টাকা, চা সেট ৪৫০।
বেতের ট্রে ১৫০-৪৫০, কাঠের ট্রে ১৫০-৬৫০, বেতের ঝুড়ি ৫০, বেতের ট্রে ১৯৮।
কাঁসার প্লেট ২০০-৫৫০, বাটি ২২৫-৩০০, কাঁসার জগ-৩০০, গ্লাস-২০০।
বাঁশ-বেতের ল্যাম্প ৩৫০-৭৫০, টেবিল কভার তাঁতের ৫৫০-৮৫০, টেবিল কভার হাতের কাজ ১০৫০-১৫০০, মাটির ফুলদানি ২৫-৭০ ও বাঁশের ফুলদানি ৬৫-১৫০ টাকায় পাওয়া যাবে।
উত্তরা থেকে কলাবাগানে মাটির পাত্র কিনছিলেন, সানজিদা চৌধুরী, মাটির তৈজসপত্র নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করি। এ দিনটিতে পোশাক, খাবারের সঙ্গে আমাদের ঘরেও বাঙালি আমেজ আর সংস্কৃতি ধরে রাখতেই মাটির পাত্র কিনছি।
আসুন বন্ধুরা একটু দেখে বুঝে প্রয়োজনীয় নান্দনিক রুচিশীল এসব পাত্র কিনে ব্যবহার করি। আর নিজের দেশীয় ঐতিহ্যকে আরও জনপ্রিয় করে তুলি। শুধু পহেলা বৈশাখেই নয় আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারি সারা বছর।