সানজিদা প্রায়ই সিদ্ধান্ত নেয়, এবার ক্রাশ ডায়েট করে ১০ কেজি বাড়তি ওজন কমিয়ে একেবারে স্লিম হওয়ার। কিন্তু দেখা যায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হয় না।
সানজিদার মতো অনেকেই বছরে কয়েক বার উদ্যোগ নিয়েও ২০ শতাংশ মানুষও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এতো বেশি পরিমাণ মানুষের ডায়েট প্রোগ্রাম ব্যর্থ হওয়ার পেছনে যে কারণগুলো থাকে তা নিয়ে কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আসুন জানার চেষ্টা করি:
প্রথম কারণটি হচ্ছে খাবার। আমরা দিনের বেশির ভাগ সময় যারা বাইরে থাকি তাদের অনেক সময়ই বাইরের খাবার খেতে হয়। আর এই সময় আমরা খাবারে ক্যালোরির পরিমাণের দিকে লক্ষ করি না। আবার অনেকেই আছি ডায়েটের নামে সারা দিন না খেয়ে থাকি, তাদের অবস্থা আরও খারাপ। কারণ সারাদিন পরে যখন খেতে বসি তখন তো আর কম খাওয়া হয় না।
সপ্তাহে ১পাউন্ড ওজন কমাতে হলে আমাদের প্রতিদিনের খাবার থেকে ৫০০ ক্যালোরি বাদ দিতে হবে। আর খাবার না কমিয়ে শুধুমাত্র ব্যায়াম করে যদি আমরা এই ওজন কমাতে চাই তবে প্রতিদিন একঘণ্টার বেশি ভারী ব্যায়াম করতে হবে। যা সত্যিই বেশ কঠিন কাজ।
আমাদের প্রবণতা হচ্ছে মাত্র তিনদিন ডায়েট আর ব্যায়াম করেই ওজন মাপতে শুরু করি কতটুকু কমেছে এটা দেখার জন্য। কিন্তু যখন দেখতে পাই খুব সামান্য ওজন কমেছে অথবা একটুও কমেনি তখন হতাশ হয়ে আমরা অনেকেই হাল ছেড়ে দেই।
তবে বাড়তি ওজন আমাদের শরীরে এক দুই দিনে জমেনি, হিসেব করলে দেখা যাবে কয়েক বছরে ধীরে ধীরে আমদের শরীর এতো ভারী হয়ে গেছে। তাহলে এই ওজন কমাতেও তো ধৈর্য ধরতে হবে।
আরও যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে আমাদের বালকি শরীরের একটি বড় অংশ হচ্ছে ফ্যাট বা চর্বি। শরীরের ওজন কমানোর চেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে ফ্যাট কমানো। আমারা যদি শরীরের ২০ শতাংশ ফ্যাট কমাতে চাই তবে সে অনুযায়ী দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা করে নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে মাত্র অর্ধেক থেকে এক শতাংশ ফ্যাট কমানো সম্ভব।
নিয়মিত রেস্টুরেন্টে গিয়ে বা বাড়িতে যারা অতিরিক্ত তেল-মসলায় রান্না খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। তাদের কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই শরীরের নানা জটিলতা দেখা দেয়।
আর যারা শাক, সবজি, মাছ, ফলেই চালিয়ে নেন প্রতিদিনের খাবার। তারা দীর্ঘদিন সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটি চাই।
এদিকে জয়া সেদিন একটি ফ্যাশন হাউসে গিয়ে খুব পছন্দ করে একটি ড্রেস কিনেছে। বাড়িতে এসে দেখা গেল জামাটি তার ফিট করছে না। টাইট হয়েছে, এখন ড্রেসটি টেইলারে দিয়ে কিছুটা ছাড়াতে হবে। কিন্তু জয়া সিদ্ধান্ত নিলো সে পোশাকটি না ছাড়িয়ে ডায়েট আর ব্যায়াম করে এই মাপের পোশাকটি পরার জন্যই ফিট হয়ে যাবে। ধরে নিলাম মাত্র কয়েক দিনেই জয়া তার কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেয়ে গেলো। আর পোশাকটি পরার পর তাকে অনেক বেশি আকষর্ণীয় দেখালো। তাহলে এখন জয়া কি করবে ডায়েট করা ছেড়ে দেবে?
জয়ার এখন কি করা উচিৎ আপনার মতামত লিখে জানান https://www.facebook.com/bnlifestyle
ও lifestyle.bn24@gmail.com এই মেইলে।
আপনি কত দিনে কী পরিমাণ ওজন কমাতে চান এবং প্রতিদিন কত ক্যালোরি আপনার প্রয়োজন জানুন..
http://health.sify.com/health-tools/
মডেল: আইরিন
ছবি: নূর