বাঙালির চিরন্তন সার্বজনীন পার্বণ বাংলা নববর্ষ। বাঙালি ও বাংলা নববর্ষ একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে।
এই সময়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ফ্যাশন ভুবন আন্দোলিত হয় নব আনন্দে, পোশাকের আয়োজনে আসে নব নব সংযোজন। আর এই ধারার ধারক-বাহক যে কয়টি ফ্যাশন হাউজ, তার মধ্যে ‘রঙ’ শীর্ষস্থানীয়। রঙ-এর ফ্যাশন ভাবনার মূলস্রোতকে বেগবান করেছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের মূল্যবোধ। তাই বৈশাখ এলেই বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে ‘রঙ’ নতুন নতুন পসরা নিয়ে নিজস্ব পরিচয়ে ও সৃজনশীল ভাবনায় আপ্লুত হয় সবার মাঝে আপন সৌরভে।
বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের পোশাক সংস্কৃতির চর্চায় পুরুষের পরিধেয় বসনে “লুঙ্গির” সংযোজন সর্বজননন্দিত। ‘লুঙ্গি’ শিল্পের সুদীর্ঘ অভিযাত্রায় তাঁতশিল্পের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। নকশা, মান ও বৈচিত্র্যে চলমান বিকাশের ধারাবাহিকতায়, গ্রামীন তাঁতীদের ভূমিকা প্রশংসিত। ‘রঙ’ দেশজ শিল্প ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ধারার অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যকে উপলব্দির নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের আন্তরিক প্রচেষ্টাটি, অন্যান্য বছরগুলোর মতো এবারও অক্ষুন্ন রেখেছে ১৪২১ সালের বৈশাখের পোশাক পরিকল্পনার ভাবনায়।
ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গির মোটিভ এবারের বৈশাখে শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা, টি-শার্ট, কটি, টুপি, ব্যাগ, গহনাসহ ইত্যাদিতে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। বৈশাখে যেহেতু প্রচণ্ড গরম থাকে তাই পোশাকগুলোতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আরামদায়ক পাতলা সুতি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বৈশাখের রং বলতে যে সকল উজ্জ্বল রং আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে, যেমন লাল, কালো, হলুদ, নীল, বেগুনী, মেজেন্ডা সাদা প্রভৃতি রং ছাড়াও গ্রামবাংলার উজ্জ্বল রংগুলো ব্যবহার হয়েছে পোশাকেগুলোতে। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে ব্লক-স্প্রে, স্ক্রিনপ্রিন্ট, এ্যামব্রয়ডারি, কাটওয়ার্ক, কারচুপি, বাটিক ইত্যাদি।
নববর্ষের ‘বৈশাখের রঙ’ শীর্ষক প্রদর্শনী ‘রঙ’ এর সকল শোরুমে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।