গণিত বিষয়টি নিয়ে অনেক শিশুই ভীত থাকে। তাদের এই ভীতি দূর করে গণিতকে জনপ্রিয় করতে কোনো ধরনের মেশিনের সাহায্য ছাড়া এলোহা এবাকাস এবং মস্তিকের গণিত শিক্ষা পদ্ধতি কাজ করে যাচ্ছে।
এবাকাস শিক্ষা পদ্ধতি আসলে সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরাতন এক শৈল্পিক পদ্ধতি। এই আদি শৈল্পিক পদ্ধতি বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তার আসনটি সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে তার একমাত্র কারণ হচেছ, এটি প্রমাণিত এবং স্বীকৃত যে, এবাকাস শিক্ষা পদ্ধতি মস্তিষ্কের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে সক্ষম।
এবাকাস এবং মস্তিকের গনিত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুরা অতি দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং শিশুদের স্মরণশক্তি, শ্রবণশক্তি, মনোযোগ উপলদ্ধি ক্ষমতা উপস্থাপন, কল্পনাশক্তি, সৃজনশীলতা বা সৃষ্টিশীল কর্ম, আত্মনির্ভরশীলতা ইত্যাদি প্রভৃতি ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন ঘটে।
এবাকাস শিক্ষা পদ্ধতি মস্তিকের উভয় পাশ্বের অর্থাৎ মস্তিকের ডান এবং বাঁ দিকের কার্য্যক্ষমতাকে সমনভাবে উদ্দীপিত করে শিশুর সর্বক্ষেত্রে মানসিক উন্নয়ন বা বিকাশে ভূমিকা রাখে।
কম্পিউটার বা ক্যালকুলেটরে স্বাভাবিকভাবেই আমরা বিভিন্ন সংখ্যা এবং চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে অতি সহজেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত উপযোগ বা ফলাফল পেয়ে যাই। এতে করে আমাদের মস্তিকের কোনো প্রকার চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এবাকাস গনকণন্ত্রের মধ্যে ক্যালকুলেটরের মত কোনো প্রকার চিণ্হ দেওয়া নেই। বিশেষ এই পদ্ধতি চিন্তাশক্তি ও মনোযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল গণনা সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারে।
বাংলাদেশে এলোহার যাত্রা শুরু হয়েছে ১১ই মার্চ, ২০০৬ সালে। এলোহা বাংলাদেশের উদোক্তারা আশা করেন, এ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর মানসিক উন্নয়ন ঘটবে এবং এই শিশুরাই মেধাবী বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে।
উল্লেখ্য, এলোহা মেন্টাল এরিথমেটিক কোর্সটি ৬ থেকে ১৪ বৎসর বয়সের স্কুলের শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশের জন্যে আইএসও সনদপ্রাপ্ত একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম। বর্তমানে বিশ্বের ২৫টি দেশে প্রায় পঞ্চাশ লাখ শিক্ষার্থী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছে। এলোহা বাংলাদেশ একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম শিশুদের মেধাবিকাশের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং নন্দিত এই কার্যক্রম শুরু করে।
বিস্তারিত: ০১৬১০৮০১০৮০