আমরা পুরো রোজায় চেষ্টা করি সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করতে। আর বিকেল থেকেই শুরু হয় ইফতার আয়োজন।
বাইরের এই মুখরোচক খাবারগুলো অনেকেই খুব পছন্দ করে খাই, অনেকেই আবার চিন্তা করেন, যে দোকান থেকে এগুলো এসেছে একটু আগেই সংবাদে দেখেছি তাদের খাবার মানসম্মত না হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে জরিমানা গুনতে। কি দরকার এতো ভাবাভাবির যখন আমরা ঘরেই তৈরি করতে পারি দারুণ মজার দই ফুচকা।
জেনে নিন:
ফুচকা: লাল আটা ২ কাপ, সুজি আধা কাপ, তালমাখনা ২ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি প্রয়োজনমতো।
সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে শক্ত ডো বানিয়ে রুটি বেলে ছোট ছোট করে কেটে ডুবো তেলে ভেজে ফুচকা তৈরি করে নিন।
গুঁড়া মসলার জন্য: ধনে গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, জিরা টেলে গুঁড়া করা ২ টেবিল-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ।
টক: তেঁতুলের গোলা ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, ধনেপাতা ২ টেবিল-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫টি, শুকনা মরিচ ভাজা৬টি, বিট লবণ আধা চা-চামচ। একসঙ্গে ব্লেন্ড করে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এবার পানি ঝরানো দই ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ একসঙ্গে ফেটে নিন।
পুর: আলু সেদ্ধ চটকানো ১ কাপ, ছোলার ডাল সেদ্ধ ১ কাপ, পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ কুচি স্বাদমতো গুঁড়া মসলা ও লবণ দিয়ে মেখে নিন।
সবশেষে প্রতিটি ফুচকায় পুর ভরে চাটনি দিয়ে প্লেটে সাজিয়ে দইয়ের মিশ্রণ ঢেলে গুঁড়া মসলা দিয়ে ওপরে ধনে পাতা কুচি, ও ঝুরি হাতে ভেঙ্গে ছড়িয়ে দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন।
যদি এতো কিছু করতে না চান, তবে কেনা ফুচকা দিয়েও দই ফুচকা তৈরি করতে পারেন। আবার দই ছাড়া ফুচকা শুধু পুর ও টক দিয়েই খেতে পারেন।
বন্ধুরা আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle