দীর্ঘদিন থেকে একই সাজের ঘর, একই রং-এর ফার্নিচার, পর্দা দেখে আসতে আসতে হয়তো বা নিজের মনের মধ্যে একঘেয়েমি চলে আসতেই পারে, নিজের অজান্তেই মন চায় একটু পরিবর্তন, একটু ভিন্ন আমেজ।
আমাদের পুরনো ঘর-বাড়িকে একটু বদলে নিয়ে কীভাবে ভিন্ন আঙ্গিকে নতুন আমেজে নতুনের মতো করে সাজিয়ে তোলা যায় এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন রেডিয়েন্ট ইন্সটিটিউট অব ডিজাইনের চেয়ারপারসন গুলশান নাসরীন চৌধুরী।
নতুনের আহ্বান সবসময় মানুষের মনকে দোলা দেয়। আর নতুন ঘর-বাড়ির প্রতি আমাদের আগ্রহটাও কম নয়। এতে যেমন নতুন একটা পরিবেশ পাওয়া যায় তেমনি নুতন উদ্যমে কাজ করার স্পৃহা জাগে, আর আমাদের মন ও মনন সিক্ত হয় অন্যরকম ভালোলাগায়। ঘনবসতির এ নগরীতে বাসা পরিবর্তন বেশ ঝামেলার কাজ, তবে আমরা ইন্টেরিয়রে কিছুটা পরিবর্তন এনে নতুন একটা লুক আনতে পারি।
আমাদের পুরনো বাড়িতে কীভাবে নতুন একটা লুক আসবে এ বিষয়ে গুলশান নাসরীন চৌধুরী বলেন, মানুষের মনের প্রশান্তির জন্য ঘরের ভেতরকার পরিবেশটা বেশ জরুরি। তাই একই ধাঁচের পুরনো ঘরবাড়ি একটু বদলে নিয়ে নতুন করে সাজিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সবসময় বাসা বদলানো বা বাসার ফার্নিচার বদলে নতুন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়।
তবে আমরা চাইলেই ঘরের দেয়াল রং করে পুরনো ম্যারমেরে পরিবেশটা বদলাতে পারি। আর চাইলে এই কাজটি নিজেরাই করতে পারি। এতে যেমন ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে তেমনি খরচটাও কম হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান শহুরে জীবনে বাসা পরিবর্তন বেশ কষ্টসাধ্য, তবে আমাদের ঘরগুলোর একটা বেডরুমের দেয়ালগুলো হালকা নীল বা পছন্দের কোনো রং-এ রাঙাতে পারি। ডাইনিং স্পেসটা ছোট হলে দেয়ালের একটা পার্ট লাল বা অন্য কোন ডার্ক রং-এর ব্যবহার করতে পারি। শিশুদেরও মাঝে মাঝে পরিবর্তন দরকার তাই ছেলেশিশু হলে তার ঘরটি নীল, সবুজ রং আর মেয়েশিশু হলে গোলাপী রং-দিয়ে সাজাতে পারি। দেয়ালের রং-এর সঙ্গে ম্যাচ করে ঘরের লাইটিংয়েও পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
তবে ঘরের প্রতিটি দেয়াল রং-এ কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে, নিজের পছন্দের রং-এ রাঙিয়ে নিন।
বন্ধুরা আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle লাইফস্টাইল বিভাগে লেখা পাঠাতে পারেন lifestyle.bn24@gmail.com