দেশ সেরা একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ দায়িত্বশীল পদে চাকরি করছে রীতা। সকাল থেকে সন্ধ্যা, তাকে দিনের বেশিরভাগ সময় ফোনে অথবা মিটিং-এ ব্যস্ত থাকতে হয়।
রীতা অফিসের সব কাজ যেমন দায়িত্ব নিয়ে সময় মতো শেষ করে, তেমনি পরিবারের প্রতিও সে সমান সচেতন।
ছোট দুটি বাচ্চা আর স্বামীর দেখাশোনা ছাড়াও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করাও তার নিয়মিত কাজ।
সন্তানরাও ক্লাসে ভালো রেজাল্ট করছে, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গেও থাকছে নিয়মিত যোগাযোগ, মাত্র ১০ মিনিটের নোটিশে তৈরি হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে বন্ধুর দাওয়াতে, এতো কিছু দেখে পতীদেবও খুশি।
সব কিছুর পেছনে রীতার রয়েছে শুধুমাত্র মানসিক শক্তি আর উদ্যোম। ভালো থাকার এবং ভালো রাখার মানসিকতা।
আজকাল পার্লারে গেলে দেখা যায় বেশ বয়স্ক নারীরা চুল রং করাচ্ছেন, কেউবা করছেন ফেসিয়াল। তার মানে হচ্ছে নারীরা নিজেদের সৌন্দর্য ধরে রাখার বিষয়েও সচেতন।
অনেকেই নিয়মিত জিমে যাচ্ছেন শরীরটাকে ফিট রাখতে। চাকরি-সংসার সব সামলে নিজের জন্য সময় বের করতে হয়তো একটু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু জয়ী নারীরা হাল ছাড়ছেন না।
এতো মানসিক শক্তি তারা কোথায় পাচ্ছে? জানতে চাইলে ব্যাংক কর্মকর্তা দিহান বলেন, পড়াশোনা শিখেছি, এখন জব করছি, নিজের একটি পরিচয় হয়েছে। এটা যখন ফিল করি তখন কাজ করার উদ্যোম আরও বেড়ে যায়। আর আমার কাজে যেন কোনো সমস্যা তৈরি না হয়, এজন্য পরিবারও সব সময় সচেতন থাকে। নিজের পেশা আর সংসার সামলানো এখন আর চাপের মনে হয় না। বরং এই সম্মান বেশ উপভোগ করি।
ঘরে-বাইরে ব্যস্ত নারীদের জন্য পরামর্শ:
প্রতিটি কাজ সঠিক, সুন্দরভাবে করতে হলে আগে নিজেকে সুস্থ থাকতে হবে। তাই, সুস্থতার জন্য নিয়মিত ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন, আর অন্য কিছু করার সময় না পেলে বাড়িতে ফেরার সময় গাড়িতে না উঠে হাঁটুন, লিফটে নয় সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।
ত্বক ও চুল ভালো রাখতে প্রচুর পানি পান করুন এবং তাজা ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন
বাইরে যাওয়ার সময় ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন কাজ তো করতেই হবে সঙ্গে পরিমাণমতো বিশ্রামও নিন সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন।
মাসে দু-একবার পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল, পেডিকিওর-মেনিকিওর ও হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন।
সারা সপ্তাহ কাজে ব্যস্ত থাকার পর ছুটির দিনে স্বামী সন্তান নিয়ে একবেলা বাইরে ঘোরার প্লান রাখুন, কেনাকাটা, বাইরে খাওয়া, সিনেমা দেখা যে কোনো কিছু।
নিজের শখগুলোকে হারিয়ে যেতে দেবেন না প্লিজ…