রোজার মাসে আমরা যতই বাইরের খাবার না খাওয়ার কথা বলি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিদিনই লোভনীয় সব ইফতার আইটেম বাইরে থেকেই নিয়ে আসছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্য অনেক ইফতারের আইটেমের মধ্যে কয়েকটি নাম করা রেস্টুরেন্টে খাসির আস্ত লেগ রোস্টের চাহিদা অনেক বেশি। হতেই হবে যে ঘ্রাণ আর স্বাদ ভোজন রসিক যে কারও জন্যই এটা উপেক্ষা করে অন্য খাবার নেয়া সত্যি কষ্টের।
যারা একটু সময় নিয়ে ছুটির দিনে পরিবারের জন্য স্পেশাল কিছু করতে চান। আপনাদের জন্য এই রেসিপি।
উপকরণ: খাসির আস্ত রান ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, জিরা ১ চা-চামচ, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, কালো গোলমরিচ ও তেজপাতা পছন্দ মতো, শুকনা মরিচ ৬টি, টকদই আধা কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী-পোস্তদানা একসঙ্গে বাটা ২ টেবিল-চামচ, দুধ দেড় কাপ, কেওড়াজল ১ টেবিল-চামচ, তেঁতুলের মাড় ১ টেবিল-চামচ, ঘি ২ টেবিল-চামচ, তেল আধা কাপ, চিনি ১ টেবিল-চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: প্রথমে আস্ত রান কাঁটা চামচ দিয়ে কেচে নিয়ে পেঁয়াজ, রসুন আদা, জিরা, দারচিনি, তেজপাতা এলাচ ও লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, গোলমরিচ, লবণ, টকদই, চিনি ও তেল দিয়ে মেরিনেট করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মশলাসহ রান সেদ্ধ করুন।
পেঁয়াজ বেরেস্তা, ঘি ও তেঁতুল বাদে দুধ, জায়ফল-জয়ত্রী-পোস্তদানাসহ ওপরের অন্য সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে নাড়তে থাকুন। মশলা রানের গায়ে লেগে তেল উঠে এলে তেঁতুলের মাড় দিয়ে দিন। সব শেষে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন দারুণ মজার জিভে পানি আনা খাসির আস্ত লেগ রোস্ট।
পরোটার সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
টিপস: এ্যপোলো হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা ডাব কিনে খেতে পারি না সে ক্ষেত্রে ইসুপগুল বা বেলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। ইফতারির পরে চিনি ছাড়া যে কোনো ফলের জুস খেলে পেট ঠান্ডা থাকবে।
বন্ধুরা, বাংলানিউজের লাইফস্টাইল বিভাগে নিয়মিত আয়োজনে আপনাদের জন্য পুরো রমজান মাস জুড়েই থাকবে ঝটপট স্বাস্থ্যকর রেসিপি। আপনাদের পছন্দের কোনো রেসিপি জানতে চাইলে আমাদের লিখুন-lifestyle.bn24@gmail.com
আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle