কফির কাপে চুমুকের আসক্তি বাড়ছেই। কিন্তু যে ধোয়াওঠা গরমা-গরম কফির কথা ভাবছেন, আজকের আলোচনা তা নিয়ে কিন্তু মোটেই নয়!
আলোচনা ঠাণ্ডা কফির।
এখন এই কফিই বড় ক্রেজ। কফির কাপ ছেড়ে যা এরই মধ্যে ক্যানেও জায়গা করে নিয়েছে।
জাপানে এই পদ্ধতি আগে থেকেই জনপ্রিয় কিন্তু ইউরোপ অামেরিকায় নতুন স্থান করে নিচ্ছে এই ঠাণ্ডা কফি।
কিছুদিন হলো স্টারবাকস ফ্রাপুচিনো প্রক্রিয়ায় বানানো কোল্ড কফি বিক্রি করছে। তাতে দুধ-চিনিও আগেভাগেই মিশিয়ে রাখা থাকে। ব্লু বোটল’স এর নিউ অরলিনস কোল্ড ব্রুও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দুধসমেত কনটেইনারেই বিক্রি হচ্ছে এই কফি। লা কোলোম্বি, স্টাম্পটাউন, পিট’সরাও এই দৌড়ে সামিল। ড. পিপার, কোকাকোলা কম্পানি আর ইলিও পিছিয়ে নেই।
প্রশ্নতো রয়েছেই এই হিমঠাণ্ডা পানীয় কি আদৌ ভালো কিছু! কফি কম্পাস ব্লগের লেখক মাইকেল বাটারওর্থ বলছেন, মানের দিকে থেকে এখনো ধোয়া ওঠা গরম কফির কাছে পৌঁছাতে পারেনি ঠাণ্ডা কফি।
তাতে হয়েছে টা কি? কিছুই হয়নি। কারণ ক্রেতারা তাতে থোরাই কেয়ার করে। ঠাণ্ডা কফির ভক্তরা এখন জাপানি স্টাইলেই বেশি আগ্রহী। বরফের ওপর গরম কফি ঢেলে দাও। আইস কফি খাও।
মানের কথা পাশে ঠেলে রাখলে এখন বলা চলে ক্যান খোলো কফি খাও এই পদ্ধতি এখন বেশ চলছে।
আর কোল্ড কফি হলে তার রকমফেরও সম্ভব।
গরম কফি খাবেন আবার আগেভাগে প্রস্তুত করে রাখাও পেতে চাইবেন, তা হয় না। রেফ্রিজারেটরে কোল্ড কফি রাখার মতো সে ক্ষেত্রে আপনাকে সারাক্ষণ গরম কফি ওভেনে ফোটাতে হবে। যা সম্ভব নয়।
সুতরাং পাশ্চাত্যের আরও অনেক খাবারের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, কফির ক্ষেত্রেও বুঝি তাই ঘটতে যাচ্ছে। সন্দেহ কেনো? ঘটেই গেছে।
কোল্ড কফিকে ধন্যবাদ। তাহলে এখন থেকে চাইলেই মিলবে কফি। হোক না সে কোল্ড কফি!
বাংলাদেশ সময় ২১২২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৬
এমএমকে