মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক প্রশ্নাতীত। তাই মায়ের সঙ্গেই তার যত দাবিদাওয়া, চাওয়া-পাওয়া, আলোচনা।
কথা দিয়ে কথা রাখুন। আপনার শত ব্যস্ততা থাকতে পারে কিন্তু সন্তানের ছোট ছোট চাওয়াকে প্রায়োরিটি লিস্ট থেকে কখনো বাদ দেবেন না।
প্রথম থেকেই বাড়ির এবং বাইরের কাজ সমানভাবে ভাগ করে নিন স্ত্রীর সাথে। ছেলেমেয়েরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপরও দায়িত্ব দিন, যাতে পুরো পরিবার একটা অভিন্ন ইউনিট হিসেবে সংসারের সব কাজ করতে পারে।
ছেলেমেয়ের সঙ্গে তাদের মায়ের নানা দোষ নিয়ে মজা করবেন না। আপনার সুন্দর ব্যবহার এবং অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ওদের চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠনে ছাপ ফেলবে।
সন্তানকে নিয়মিত সময় দিন। পড়াশোনায় সাহায্য, বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, ছুটির দিনে একসঙ্গে খেলা ইত্যাদি।
বাচ্চার ডায়পার বদলানো, জামাকাপড় বদলানো, ঘুম পাড়ানোর মতো কাজকে মেয়েলি বলে তুচ্ছ করবেন না। বাবা হয়ে মাঝে মাঝে এ কাজগুলো করলে সন্তানের সঙ্গে আপনার বন্ধন আরও নিবিড় হবে।
আপনি যে কাজগুলো ভালো পারেন, সেগুলো ধীরে ধীরে আপনার ছেলেমেয়েকে শিখিয়ে দিন।
ছেলেমেয়েদের পছন্দের কাজগুলো করতে উৎসাহ দেখান। ওরা বুঝতে পারবে যে ওদের সঙ্গে আপনি সব সময় রয়েছেন।
সব ধরনের নেশা বা মাদক থেকে দূরে থাকুন। আপনার কাজ, পছন্দ, রুচি এবং বিভিন্ন আচরণ শিশুদের মধ্যে প্রভাব ফেলে। আর ধুমপানের মতো খারাপ অভ্যাসের ফলে শুধু নিজের জীবনই নয় প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
সন্তানকে নিজের মতো বড় হতে দিন। নিজের অপূর্ণ ইচ্ছা ওর ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
তাকে স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করুন। পরিশ্রম ও মুল্যবোধের মাধ্যমেই যে তা জয় করা সম্ভব সেটা বোঝানো একজন বাবার বড় দায়িত্ব।
সব সন্তানের কাছেই তার বেস্ট ফ্রেন্ড, প্রিয় বাবাই-সুপার ম্যান।