এই অবস্থায়ও হতাশ হতে নারাজ দেশীয় জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউস সাদাকালোর কর্নধার আজহারুল হক আজাদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশি পোশাকের আগ্রাসন আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।
শুধুমাত্র ঈদে কিছু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার লোভে নিম্নমানের বিদেশি পোশাক এনে বিভিন্ন নামে চালাচ্ছে। আদতে দেখা যাবে যে নামে যে পোশাক বিক্রি হচ্ছে, তেমন পোশাক হয়তো সেই নায়িকা পরেনই নাই।
বাহুবলী, বাজিরাও মাস্তানি, জারা, হুররাম ও রাইসসহ নানা নামের এই পোশাকগুলোর দামও আকাশ ছোঁয়া। দোকানীরা জানান সাত হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকায় এসব গাউন ড্রেসগুলো পাওয়া যাচ্ছে।
এতো দামে অনেক পরিবারের পক্ষেই পোশাক কেনা সম্ভব নয়। এজন্য অনেকের মাঝেই দেখা দিচ্ছে হতাশা।
এ প্রসঙ্গে অঞ্জনস-এর প্রধান নির্বাহী শাহীন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে ফ্যাশনও আবর্ততি হয় উপলক্ষ ঘিরেই। আর ঈদ আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোলাগার জায়গায় আছে। এক শ্রেণির ক্রেতারা সব সময়ই বিদেশি চটকদার পোশাকে নিজেকে দেখতে পছন্দ করেন, তাদের এই পছন্দের সুযোগ নিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী। এরপর আজকাল অনলাইন শপগুলোও গড়ে উঠছে কোনো ধরনের দায়বদ্ধতা ছাড়াই। অনেক ক্ষেত্রে ছবির পণ্যের সঙ্গে মিলছেনা, প্রকৃত পণ্য। ফলে নিম্নমানের পণ্য পাচ্ছেন ক্রেতারা। এই বিষয়গুলো নিয়ে সেভাবে সচেতনতাও তৈরি হয়নি এখনো। তিনি অনলাইন হাউসগুলোকে একটি জবাবদিহিতার আওতায় এনে ব্যবসা করার কথা বলেন। তিনি বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ক্রেতারা সঠিক দামে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় পণ্যটি পেয়ে যাবেন। আর এতে করে অনেকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে।
ঈদ সামনে রেখে বিদেশি পোশাকের প্রচার যেন আমাদের দেশীয় মিডিয়ায় না হয় সে অনুরোধও জানান শাহীন আহমেদ।
আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ তাঁত-জামদানি, কাতান বেনারশি, যা যেকোনো বিদেশি পোশাকের তুলনায় অনেক বেশি অভিজাত্য তুলে ধরে।
আমাদের সবাইকেই দায়িত্ব নিতে হবে তাঁতশিল্প রক্ষায়, তাঁতীদের কাজের সুযোগ করে দিতে। এজন্য দেশি পোশাক কিনতে হবে, পরতে হবে।
দেশি পোশাকেই হোক আনন্দের ঈদ।