আপনাদের জন্য সেই পরামর্শ দিয়েছেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক বিউটি এক্সপার্ট ফারনাজ আলম।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে ঈদ কিন্তু সবার জন্য।
আপনার পোশাক কেনার সময়ই সকাল, দুপুরের জন্য সুতি এবং সন্ধ্যার জন্য জামদনি, জর্জেট বা সিল্ক তসর বেছে নিন।
ঈদের দিনের সাজ তিন সময়ে ভাগ করে নিন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর এবং রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।
সকালে বাড়িতে রান্না বা অতিথি আপ্যায়ণের সময় সালোয়ার কামিজ অথবা সুতি শাড়ি পরুন। হালকা ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, লিপিস্টিক আর কাজল দিয়ে সাজ শেষ করুন। চাইলে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট একটি টিপও পরতে পারেন।
ঈদ এবার গরমে হচ্ছে তাই দুপুরটা বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। তারপরেও সাজটা একটু ঠিক করে নিন। দুপুরে হালকা রং-এর পোশাক বেছে নিন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর ঠোঁট একে দিতে পারেন লিপগ্লস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে স্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানে আর গলায় ছোট গয়না পরুন।
সারাদিনের কাজের ব্যস্ততা শেষে এবার আপনি সন্ধ্যার জন্য তৈরি হতে শুরু করুন-ইচ্ছেমতো সাজুন। প্রথমেই ব্রাশ করে গোসল করুন। এক মগ চা বা কফি খেয়ে সাজতে বসুন। কোনো গাঢ় রং-এর শাড়ি পরুন। মুখ, গলায় ফাউন্ডেশন কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজেয়ে মুখে চেপে মেকআপ বসিয়ে নিন।
চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রং-এর স্যাডো ব্যবহার করুন। লাইনার দিয়ে লাইন করে ঠোঁটে লিপিস্টিক দিন। নখে নেইলপলিশ দিন(দুইকোট) হাত ভর্তি চুড়ি পরুন। গলায় ও কানে গয়না পরুন। কুমকুম অথবা গ্লিটার দিয়ে বড় করে টিপ আকুন কপালে। এবার ব্লাশন দিয়ে সাজ পূর্ণ করুন।
পছন্দের পারফিউম মেখে, পার্টি ব্যাগ নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে বেরিয়ে পরুন।
পরিবারের সবার সঙ্গে আপনার ঈদ হোক নিরাপদ ও আনন্দময়।