সবাই কি আসলে বন্ধু? অনেকেই আবার এই বন্ধু তালিকা থেকে বিশেষ কারও সঙ্গে তৈরি করছেন ঘনিষ্টতা। কেউ কেউ হয়তো ঘরও বাধঁছেন সেই সম্পর্ক থেকেই।
আমরা মিডিয়াতে কোনো খবর এলেই শুধু জানতে পারি, এমন একটি প্রতারণার ঘটনা, তবে অজানা ঘটনার সংখ্যা কিন্তু আরও অনেক বেশি।
প্রতিটি বন্ধুকেই যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, আমরা আজও সেই ‘ড্যাম কেয়ার সোসিইটি’ তে বাস করি না। আমরা অনেক বেশি প্রভাবিত হই, দুঃখ পাই প্রিয়জনের কষ্টে।
বন্ধুত্বের কোনো বয়স অথবা সীমানা নেই। আর ইন্টারনেটের যুগে বন্ধুত্বের দ্বার খুলে গেছে বিশ্বব্যাপী। ছেলে-বুড়ো, ছাত্র থেকে অফিসের কর্তা সবারই ফেসবুক আইডি রয়েছে। আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করছি চেনা-অচেনা বন্ধুর সঙ্গে।
আমরা পুরোনো বন্ধু ফেসবুকের মাধ্যমে খুঁজে পাই, আর অনেকের সঙ্গে নতুন বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে,
পুরোনো বা নতুন কোনো বন্ধুত্বই যেন, বন্ধুত্বের গণ্ডি ছাড়িয়ে না যায়, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বন্ধুত্বের দুয়ার খোলা। কিন্তু সেই খোলা দুয়ারের মেলামেশা করার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন:
কারও সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হলেই তার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো ছবি শেয়ার করা যাবে না
যেকোনো প্রলোভন( বিয়ে বা প্রেমের) কোনো ভাবেই বিয়ের আগে শারিরিক সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়।
আর যদি নিজের ইচ্ছায় কোনো অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান তবে সে দায় শুধুমাত্র কোনো একজনের নয়, অন্যকে হেয় করতে অথবা নিজের কোনো উদ্দেশ্য সফল করতে সেই সম্পর্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।
কারণ, মামলার ভয় দেখিয়ে হয়তো কোনো সম্পর্ক তৈরি করা যায়, কিন্তু তাতে কোনো ভালোবাসা, বিশ্বাস বা সম্মান থাকে না।
আর যারা বিবাহিত তারা ফেসবুকে সঙ্গীসহ ছবি দিন, অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবেন। যে সময়টা ঘরে থাকবেন, সঙ্গীকে সময় দিন, সারাক্ষণ ফেসবুকে বসে থাকবেন না। আমাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হয় এমন কাউকে ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় না রাখাই ভালো। প্রিয় সঙ্গীকে পাশে রেখে সবার সঙ্গে সুস্থ বন্ধুত্ব রক্ষা করুন।
ফেসবুক যেন আমাদের কারও জীবনেই প্রতারণার ফাঁদ না হয়, এটা সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে।