ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শীতে ঠোঁটের বাড়তি যত্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৭
শীতে ঠোঁটের বাড়তি যত্ন প্রতীকী ছবি

শীতকালে ঠোঁট ফাটে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। ফাটা ঠোঁট নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েন। অনেকের আবার সারা বছরই ঠোঁট খসখসে থাকার সমস্যা হয়। সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্যা থেকে। আসুন জেনে নিই কিভাবে শীতেও সুন্দর, সুস্থ্য ঠোঁট হাসি ফোটাবে মুখে।

জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো থেকে বিরত থাকুন 
জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো একটি মারাত্মক বদঅভ্যাস। যতবারই জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন এটি ততই শুষ্ক হবে।

কারণ লালা শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি ঠোঁটকেও শুকিয়ে দেয়। লালাতে থাকা এনজাইম ঠোঁটের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই এ কাজটি করা থেকে বিরত থাকুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা
স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান শুধু আপনার ত্বকের জন্য নয়, ঠোঁটের জন্যেও অপরিহার্য। ভিটামিন ও অন্য পুষ্টি ঠোঁট তার অবস্থা অনুযায়ী সরাসরি গ্রহণ করে। কাজেই সুষম খাবার খাওয়া ঠোঁটের জন্য দরকারি।

প্রচুর পানি পান
শীতকালে ঠোঁট ফাটা বন্ধ করতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। পানি পান করলে ঠোঁটও ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকে। এতে ঠোঁট শুকিয়ে গেলেও ফাটে না।  

রাতেও ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখুন
জেগে থাকলে বুঝতে পারি আমাদের ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঘুমন্ত অবস্থায়? তাই রাতেও ঠোঁট হাইড্রেটেড থাকতে লিপ ক্রিম ও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। এসবের পরিবর্তে কাঁচা দুধ ও ঘিও ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন।

ঠোঁট ম্যাসাজ
পুষ্টিকর তেল ব্যবহার করে প্রতিদিন ৪-৫ মিনিট ঠোঁট ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে আপনার ঠোঁটে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, সেইসঙ্গে ঠোঁট পুষ্টিও পাবে।

ঠোঁটের স্ক্রাব 
সুন্দর ও সুস্থ্য ঠোঁট নিশ্চিত করতে স্ক্রাব জরুরি। এতে ঠোঁটের চামড়া থেকে মরা কোষ উঠে যাবে। হালকা ধরনের স্ক্রাব নির্বাচন করুন। বাড়িতে শুকনো চিনি দিয়েও এটা করতে পারেন।

লিপবাম সঙ্গে রাখুন
সবসময় সঙ্গে একটি ভালো মানের লিপবাম রাখুন। এতে ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না। আবার রোদের কারণে ঠোঁটের ক্ষতিও হবে না।

লিপস্টিক ব্যবহার করুন
বাইরে বের হলে লিপস্টিক ব্যবহার করুন। যেহেতু ঠোঁটের কোনো প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা নেই, তাই লিপস্টিক ঠোঁটের উপর একটি স্তর ফেলবে। যা আপনার ঠোঁটকে শুকনো বাতাস, ধুলোবালি ও রোদ থেকে রক্ষা করবে।

জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ 
কখনও কখনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার দরকার হতে পারে। উপরের টিপসগুলো খেয়াল করার পরেও যদি প্রতিকার না পান তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এমএসএ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।