ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

রক্তের প্রয়োজনে...

শারমীনা ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১১
রক্তের প্রয়োজনে...

একজন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন...রক্তের প্রয়োজন, রক্তের গ্রুপ.........আমরা প্রায়ই এ ধরণের মানবিক আবেদন দেখি। অনেকেই রক্ত দিয়ে সাহায্য করি।

আমরাও অনেক সময় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, যখন প্রিয়জন রক্তের অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে। কোথায় রক্ত পাওয়া যায় না জানার জন্য কতো অসহায় পরিস্থিতির তৈরি হয়, এটা আমার মতো ভুক্তভোগীরা জানেন।

আমার কথা  কেন বলছি? আমার মা ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ছিলেন, তাকে বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন ছিল, ডাক্তাররা বারবার রক্তের জন্য তাড়া দিচ্ছিলেন, কিন্তু পরিচিত অনেকের রক্ত পরীক্ষা করেও সে গ্রুপের রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না।

অনেক পরে যখন রক্ত পাওয়া গেল তখন আর তার শরীরে রক্ত টেনে নেওয়ার কোনো শক্তি ছিলনা।

এমন পরিস্থিতিতে শান্ত মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা যদি একটু সচেতনভাবে কিছু জরুরি ফোন মন্বর এবং ঠিকানা জেনে রাখি তাহলে নিজেদের এবং অন্যের প্রয়োজনেও কাজে দেবে। জেনে নিন কয়েকটি ঠিকানা, যেখানে প্রয়োজনে রক্তের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন।  

এ্যাপোলো হাসপাতাল প্লট-৮১, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আ/এ, ফোন-৮৪০১৬৬১।
ল্যাবএইড ব্লাড ব্যাংক, বাড়ি-১, সড়ক-৪. ধানমন্ডি, ফোন: ৯৬৭৬৩৫৬।
স্কয়ার হাসপাতাল, ১৮/এফ, পশ্চিম পান্থপথ, ফোন-৮১৫৯৪৫৭।
আদ-দ্বীন হাসপাতাল, মগবাজার ফোন-৯৩৫৩৩৯১।

হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে, প্রয়োজনে রোগীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকে।

বাঁধন- ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৮৬২৯০৪২।
 কোয়ান্টাম- ১/১ পাইওনিয়র সড়ক, কাকরাইল,-৯৩৫১৯৬৯।
 সন্ধানী- ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা, ৯৬৬৮৬৯০।
 রেড ক্রিসেন্ট-৭/৫ আওরঙ্গজেব সড়ক, মোহাম্মদপুর-৯১১৬৫৬৩।

কোয়ান্টাম ব্লাড ল্যাব-এর বিদ্যুৎ  রায় বাংলানিউজকে জানান, রক্ত পেতে ব্লাড রিকুইজিশন পেপার জমা দিতে হয়।    
রক্তদাতার রক্ত পরীক্ষা করে জানা হয় তা হেপাটাইটিস বি ও সি এইচআইভি-১; এইচআইভি-২ (এইডস), সিফিলিস, ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণুমুক্ত কি না । রক্তে কোনো ক্ষতিকর জীবাণু নেই এটা নিশ্চিত হয়েই রোগীদের জন্য তা দেওয়া হয় বলেও জানান বিদ্যুৎ।

পেশাদার রক্তদাতার রক্ত না নিয়ে রোগীর পরিবার বা পরিচিতদের রক্ত দেওয়াই বেশি নিরাপদ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্ নারী পুরুষ নিয়মিত বিরতিতে রক্ত দিলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং আমাদের দেওয়া এক ব্যাগ রক্তই হয়তো বাঁচিয়ে দিতে সাহায্য করবে অনেকের জীবন।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।