তবে ভার্চুয়াল জগতে সবার সঙ্গে যুক্ত থাকতে গিয়ে বাস্তব জীবনে আমরা একা হয়ে যাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি তৈরি হচ্ছে আসক্তি।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে যা করতে পারি:
প্রথমেই ফোন নয়
হাতের স্মার্টফোন, রাতে ঘুমানোর সময়ও পাশেই থাকে। অনেক গবেষণায়ই বলা হয়েছে, ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দেড়ঘণ্টা আগে থেকে ফোনটি হাতের না রাখতে। আমরা ঘুম ভেঙেই প্রথমেই ফোনে মেইল, ম্যাসেঞ্জার ও অন্য সাইটগুলো চেক করছি। প্রযুক্তি এই ব্যবহার আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্থ করছে। তাই সকালেই অনলাইন-ফোন থেকে দূরে থাকুন।
নোটিফিকেশন বন্ধ
একই ছবিতে বন্ধুরা লাইক দিচ্ছেন, কমেন্টস করছেন বারবার এগুলো দেখতে অনেক সময় চলে যায়। কাজেও মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়। এজন্য নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। সময় করে নোটিফিকেশন দেখে নিতে পারবেন। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি ধীরে ধীরে কমে আসবে।
কথা রাখুন
আমরা যখন অন্যকে কোনো কথা দেই, তা রাখার চেষ্টা করি। দিনে কতটুকু সময় কাজের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ব্যয় করবেন এটা নির্দিষ্ট করে নিন। আর চেষ্টা করুন নিজের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করতে।
ব্যস্ত থাকুন
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন বা নিজের পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যান। বাড়ির সবার জন্য রান্না করুন নতুন কোনো আইটেম। ছবি আঁকা, বাগান করা বা ঘর গোছানো যাই হোক, একটা সময়ের পরে সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
কাজকে সহজ করেছে, আমাদের আপডেট রাখছে সোশ্যাল মিডিয়ার যোগাযোগ। তাই এর ব্যবহার যেন ভালো কাজের জন্য আর পরিমিত হয়, এটা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এসআইএস