বন্যার সময় নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে দেখা দেয় বিভিন্ন রোগও। এসব রোগ থেকে বাঁচতে শুরুতেই সতর্কতা প্রয়োজন।
বন্যার সময় বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দেয়। বন্যার পানিতে থাকা নানা ধরনের রোগ-জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ও হেপাটাইটিসের মতো অসুখ হয়ে থাকে। টিউবওয়েলের পানি নিরাপদ। কিন্তু যদি টিউবওয়েলও তলিয়ে যায়, তবে অবশ্যই ফুটিয়ে বা ফিটকিরি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে। পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেটও ব্যবহার করা যায়।
বন্যায় চর্মরোগ হতে পারে। যতটা সম্ভব শরীর শুকনো রাখতে হবে। একই গামছা বা তোয়ালে অনেকজন ব্যবহার করবেন না। হাত-মুখ ধোয়া ও গোসলের সময় পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্য সাবানের পরিবর্তে এন্টিসেপটিক সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করুন।
এসময় সব থেকে বেশি হয় ডায়রিয়া। ডায়রিয়া দেখা দিলেই পরিমাণমতো খাবার স্যালাইন খেতে হবে। পর্যাপ্ত প্যাকেটজাত স্যালাইন ঘরে রাখুন। প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর দুই বছরের কম শিশুকে ১০-১২ চা চামচ খাবার স্যালাইন দিতে হবে। দুই থেকে ১০ বছরের শিশুকে দিতে হবে ২০ থেকে ৪০ চা চামচ। ১০ বছরের বেশি হলে এক গ্লাস স্যালাইন দিতে পারেন।
বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। রান্না করতে একটু কষ্ট হলেও গরম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কয়েক ধরনের সবজি-ডাল-চাল-তেল-মশলা মিলিয়ে খিচুড়ি করে খান প্রয়োজনে। সঙ্গে শুকনা খাবার মুড়ি-চিড়া-গুড়-বিস্কুট রাখুন।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে বন্যার সময় ও পরে চোখ ওঠে অনেকের। এটি হলে নোংরা-ময়লা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করবেন না। অন্যদের থেকে দূরে থাকুন চোখ উঠলে।
এছাড়া খোলা জায়গায় নয়, পয়ঃনিষ্কাশন নিরাপদ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময়ে কৃমির ওষুধ খেতে হয়।
বন্যায় মশার উপদ্রব খুব বেড়ে যায়। মশাবাহিত রোগ, ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া হতে পারে, সতর্ক হোন। জ্বরের সঙ্গে শরীরে ৠাশ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এসআইএস