মেশিনে সুতার সাহায্যে করা সুক্ষ্ম কারুকাজকে লোহার একটা দণ্ড গরম করে ডিজাইন অনুযায়ী পুড়িয়ে এমব্রয়ডারি করাকে তাতালের কাজ বলে।
আমাদের দেশে তাতালের কাজ বহু আগে থেকেই সমাদৃত।
একটু সময় সাপেক্ষ এবং এক্সক্লুসিভ হবার কারণে বেশিরভাগই অভিজাত শ্রেণির কাছেই এই ধরনের কাজ সমাদৃত হতো বেশি।
তবে কালের পরিক্রমায় তাতাল এখন আবার জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সাধারণত দেশীয় মসলিন এবং জামদানী শাড়িতেই তাতালের কাজ করা হয়।
আকর্ষণীয় ডিজাইন, নিখুঁত ফিনিশিং এবং ব্যতিক্রমী ও আরামদায়ক ফেব্রিক হওয়ায় এই শাড়ির জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে অর্জন করেছে আভিজাত্যের তকমাও।
শুধু দেশেই নয় বিদেশেও রয়েছে এই তাতাল শাড়ির প্রচুর চাহিদা। রাজধানীর প্রায় সব বড় বড় শাড়ি হাউসগুলোতেই পাওয়া যায় তাতাল শাড়ি। আর কেউ চাইলে নিউ মাকের্ট, গাউছিয়া বা প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার থেকে পছন্দের ডিজাইনে শাড়িতে কাজ করিয়ে নিতে পারেন।
তাতাল করা রেডিমেট শাড়ির দাম ১০ হাজার থেকে শুরু। আর নিজে ডিজাইন করাতে চাইলে ছয় হাজার থেকে আট হাজার টাকার মতো খরচ হবে।
ফারাহ্'স ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার ও প্রধান ডিজাইনার সামিয়া ফারাহ্ বলেন, তাতালের শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য ও আভিজাত্য সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। তাই বাঙালি নারীর প্রথম পছন্দ শাড়ি আর নিজেকে যারা নতুন রূপে দেখতে ভালোবাসেন তাদের সংগ্রহে দু’একটি হলেও তাতাল শাড়ি থাকে। শপিং মলের পাশাপাশি আজকাল অনলাইনেও পছন্দমতো তাতাল শাড়ি পাওয়া যায় বলেও জানান সামিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এসআইএস