ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আত্মহত্যা, ভাবতে হবে অবসাদ ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
আত্মহত্যা, ভাবতে হবে অবসাদ ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সুশান্ত সিং

এই করোনাকালে ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনা আমাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। ভাবাচ্ছে অবসাদ ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও। তিনি অবসাদে ভুগছিলেন।

অনেক আগেই ব্রিটেনের চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানচেটের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল, ভারতীয় তরুণদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ আত্মহত্যা।  প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে আত্মহত্যাজনিত মৃতের মোট সংখ্যার ৪০ শতাংশ পুরুষ এবং ৬০ শতাংশ নারী।

 


মনোবিদদের মতে, একটা দিন খারাপ গেলে হতাশ হয়ে পড়াটাই অবসাদ নয়৷ এটা তার থেকে অনেক জটিল৷ ক্রমাগত মনের মধ্যে জমাট বাঁধতে থাকা হতাশা, দুঃখ, দৈনন্দিন জীবনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, যা বেঁচে থাকাটাই কঠিন করে তোলে৷ অবসাদগ্রস্তদের মধ্যে সবসময় আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে৷ আমাদের চারপাশে থাকা মানুষের দিকে একটু খেয়াল রাখলেই হয়তো এই ধরনের প্রবণতা কারো কারো মধ্যে চোখে পড়বে৷ 


ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষন্নতা দেখা দিতে পারে, তৈরি হতে পারে অবসাদ। অনেক সময় তাদের আবেগ, হতাশা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গিয়ে আত্মহত্যার মতো পথও বেছে নেওয়ার চিন্তা করে। ‍

আর জন্মগতভাবেই মানুষ অনেক অভ্যাস এবং আচরণের অধিকারী হয়ে থাকে। আত্মহত্যা প্রবণতাও সেদিক থেকেই আসতে পারে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথে উল্লেখ করা হয়।  

এসব আত্মহত্যার পেছনে পারিবারিক অসন্তুষ্টিই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী। এরমধ্যে সাংসারিক মনমালিন্য, শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন আশঙ্কাজনকহারে প্রভাব ফেলে।  
এছাড়া বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্যারিয়ার ও অর্থনৈতিক অনিশ্চিয়তাও ভূমিকা রাখছে অবসাদগ্রস্ত হওয়ার।  

আত্মহত্যা প্রবণতার লক্ষণ বুঝে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।  

কারো মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করলে পরিবারের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তার সঙ্গে কথা বলা, তাকে সুযোগ দেওয়া মনের কথা প্রকাশ করার। সে কারও সঙ্গে আবেগের প্রকাশ করতে পারলে বেশিরভাগ সময়ই স্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় ফিরে আসে আর ভয়াবহ পরিণতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।  

পরিবার-আত্মীয়-বন্ধু-কলিগ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সাহায্যের জন্য। সচেতনতা তৈরি করতে হবে প্রতিটি স্তরে। নজর দিতে হবে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর দিকে। তাদের মনের কথাগুলো যেন পরিবারের কাছে প্রকাশ করতে পারে, এটা নিশ্চিত করতে হবে।  

বিভিন্ন চাহিদা পূরণ না হওয়ায় অনেক সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে, এ অবস্থায় পরিবারকে অত্যন্ত ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য অবশ্যই কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।