তবে লক্ষ্য অর্জনের আনন্দ কিন্তু দু’জনের কাছেই মোটামুটি সমান। সফলতার জন্য কেন আমাদের সবার জীবনের লক্ষ্য থাকা দরকার? সাফল্য, কৃতিত্ব তখনই উপোভগ্য হয়, যখন এর পেছনে শ্রম থাকে, একে পাওয়ার ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকে।
লক্ষ্য অর্জন কঠিন ভেবে অনেক সময় আমরা খুব সহজেই হাল ছেড়ে দেই। আমরা ভাবতে থাকি কী কী করা উচিত ছিল, কিন্তু কী কী করতে পারি, সেটাই ভাবতে ভুলে যাই। যেমন আমরা চাইলেই সব কিছু অর্জন করতে পারি না। নিজেদেরও অনেক ধরনের সীমাবধ্যতা থাকতে পারে। লক্ষ্য স্থির করার আগে এই বিষয়টিও অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
অনেক সময় অন্যদের সাফল্যের পরিমাপে আমরা নিজেকে মাপতে চাই, এটা করলে ভুল হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। জীবনকে নিজের মতো করেই এগিয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে আমার পরিবার, পরিবেশ, চাহিদা এবং যোগ্যতা অন্যদের সঙ্গে মিলবে না। আর তাই লক্ষ্য এক হলেও তা অর্জনের জন্য নিজের মতো করেই চেষ্টা করে যেতে হবে।
লক্ষ্য স্থির হওয়ার পর অর্জনে চেষ্টার পাশাপাশি এটাকে ভালোও বাসতে হবে। লক্ষ্য অর্জনে কিছুটা এগিয়ে গেলেই সবার সঙ্গে বলে দেওয়া ঠিক নয়, হতে পারে যাকে জানালেন, তিনি আপনাকে এমন কিছু বলে দিলেন, যে আপনার কাজটি করার উৎসাহ কমে যেতে পারে।
আবার এমনও হয়, লক্ষ্যের কথা বলে দিয়ে মানুষ এক ধরনের তৃপ্তি অনুভব করে, যার অনুভূতি অনেকটাই লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি। যে কারণেও কমে যেতে পারে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এসআইএস