একদিকে গরমে অতিষ্ঠ অন্যদিকে আকাশছোঁয়া বিদ্যুতের বিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের মাথায় বাড়ি ভাড়ার মতোই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের বিল।
বিশেষ করে মহামারি করোনার সময়ে যখন প্রায় সব পরিবারেই আয়ের পরিমাণ কমেছে, সেখানে মাসে দু’হাজার টাকার বিদ্যুত বিল যখন আট হাজার টাকা আসে, সেই বাড়ির কর্তার অবস্থা কেমন হয়, তা তো সহজেই বোঝা যায়।
জেনে নিন কয়েকটি সহজ উপায়, আকাশছোঁয়া বিদ্যুতের বিলে রাশ টানবেন যেভাবে:
• প্রথম কথা, ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় অপ্রয়োজনে লাইট, ফ্যান, এসি চালিয়ে রাখা যাবে না
• ঘরে প্রাকৃতিকভাবে আলো-বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা থাকলে দিনের বেলা বাতি জ্বালাবেন না
• ঘরে বা অফিসে অতিরিক্ত আলোর ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
• মাসে অন্তত একদিন ফ্রিজ খালি করে পরিষ্কার করুন। ওই দিনটা ঘণ্টা খানেকের জন্য ফ্রিজ বন্ধ রাখুন। এতে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে
• কম্পিউটার কাজ হয়ে গেলে সেটি বন্ধ করে দিন। অযথা চালিয়ে রাখবেন না
• ফোন, ল্যাপটপ চার্জ হয়ে গেলে মনে করে সুইচ বন্ধ করে দিন
• এসি চালিয়ে ঘর ঠাণ্ডা করে নিয়ে, বন্ধ করে দিন। দেখবেন এতে অনেকক্ষণ ফ্যান চালানোর প্রয়োজন হবে না
• বাড়ির সব ঘরে সাধারণ বাতির পরিবর্তে অ্যানার্জি সেভিং বাতি লাগান
• রান্না করার বেশ কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে পানিতে রেখে বরফ ছাড়িয়ে নিন। বার বার মাইক্রোওয়েভ চালিয়ে ডিফ্রস্ট করলে বিদ্যৎ বেশি খরচ হয়
• কম্পিউটার যখন ব্যবহার করবেন না তখন বন্ধ করে রাখুন। এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে
• এছাড়াও রান্না পানি গরম করার মতো কাজগুলো চুলায় করার চেষ্টা করুন
• রেফ্রিজরেটরের তাপমাত্রা রাখুন ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। আর ফ্রিজারের তাপমাত্রা রাখুন -১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে। এতে খাবার সুরক্ষিত থাকবে। বেশি ঠান্ডা করে রাখলে বিদ্যুৎ নষ্ট হয়।
• এসির তাপমাত্রা অবশ্যই ২৫ এ রাখুন, মনে রাখবেন, গরমকালে ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য ৭ ডিগ্রির বেশি থাকা উচিত নয়।
শুধু নিজে না, বাড়ির সবার মধ্যে অভ্যাস তৈরি করে দিন যেন ঘর থেকে বের হলে সুইচ বন্ধ করে দেয়। আর এতে অনেকটাই বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়, বিলও থাকবে মোটামুটি নাগালেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
এসআইএস