অনেক সময় আমরা নিজেদের যেখানে যেভাবে দেখতে চাই, সেভাবে খুঁজে পাই না। একটু সহজ করে বললে, কাজের ক্ষেত্রে নিজেদের যে স্থানে নিয়ে যেতে চাই অথবা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি তার পুরোটা অর্জন করতে সক্ষম নাও হতে পারি।
স্বপ্নের এই সফলতার শীর্ষ স্থানটি না পেয়ে অনেক সময় আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। কিন্তু নিজেদের নিয়ে কি একটু ভাবার সময় হয় আমাদের, কেন পুরো সফল হতে পারি না বা নিজেকে আরও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি? যখনই ভাবতে শুরু করবো, দেখা যাবে বেশ কিছু বিষয় আমরা নিজেরাই পেয়ে যাবো, যেগুলো কিছুটা সংশোধন বা পরিবর্তন করলেই আমরা প্রত্যেকেই বেস্ট হতে পারবো নিজের কাছে, আর সবার কাছেও।
আচ্ছা এডিট শব্দটা সংবাদ সম্পাদনার মতো শোনাচ্ছে। একটি সংবাদ প্রকাশের আগে কোনো ভুল থাকলে বা কিছু যোগ করতে হলে অথবা বাদ দিয়ে পাঠকের জন্য সহজ ও নির্ভুলভাবে তৈরি করে তবেই উপস্থাপন করা হয়। আসলে প্রতিটি কাজ করার জন্য আমাদের নিজেদেরও যথেষ্ট সাবলিলভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন হবে নিজেদের সুন্দর করে উপস্থাপনের পদ্ধতি জানাও।
আসুন জেনে নেই যা করতে হবে
পরিস্থিতি সহজেই অনুকূলে রাখতে আমাদের সব চেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে সুন্দর হাসি। সব সময় সুন্দর করে হেসে সবার সঙ্গে কথা বলুন।
বিশ্বের যে স্থানেই থাকুন না কেন, সব সময় ‘ধন্যবাদ’ দিতে ভুলবেন না। কেউ খুব ছোট একটা উপকারও যদি করে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধন্যবাদ দিন। বলুন তার এই সাহায্যের কারণে আপনার কাজটি করা অনেক সহজ হয়েছে। সামনে আরও বড় কাজ তিনি আপনার জন্য হাসি মুখে করতে প্রস্তুত থাকবেন।
স্মার্ট লোকের মনও বড় থাকে। শুধু অন্য কেউ বিল দেবে এটা হতে দেবেননা। চেষ্টা করুন বন্ধু বা কলিগদের সঙ্গে বের হলে, নিজে খাবারের বা অন্য বিল দিতে। তবে সময় এটা করবেননা, অন্যদেরও সুযোগ দিন।
খাবার খাওয়ার সময়টা সচেতন থাকা কিন্তু খুব জরুরি। অবশ্যই ধীরে ধীরে খেতে হবে, আর চামচ-কাটা দিয়ে খাওয়ার সময়, এর সঠিক ব্যবহারও জানতে হবে।
কোন জায়গায় কেমন সাজ-পোশাক হবে এটা সত্যিকারের স্মার্টরা ভালোই জানেন। যেমন যখন সকালে পার্কে হাঁটতে বের হবেন তখন নিশ্চয় কেউ মেকআপ করে দামী জমকালো পোশাক পরবেন না। যে জুতাতে হাঁটতে পারেন না, তা কখনো পরবেন না।
প্রিয় মানুষদের জন্মদিন মনে রাখতে হবে। ছোট ছোট গিফট দিয়ে তাদের বিশেষ দিনগুলোর আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিতে হবে।
সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। তবে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করাটাও কিন্তু জানতে হয়। যেমন সন্ধ্যায় একটি দাওয়াত আছে এজন্য দুপুরে গিয়ে বসে থাকলে যেমন বেমানান লাগে, তেমনি ৭ টার প্রোগ্রামে রাত ১২ টায় যাওয়াটাও তেমন শোভন নয়।
যাই বলিনা কেন, আমাদের জীবনে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব কম নয়। এর সঠিক ব্যবহার যেমন আমাদের জনপ্রিয়তা, ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে, তেমনি অপব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তেও সময় লাগেনা। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে যথেষ্ট সচেতন থাকুন।
বুঝতেই পারছেন, বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এবার মিলিয়ে নিন, যদি দেখেন কিছু পরির্বতন প্রয়োজন, তবে আর দেরি কেন? নিজেই চেষ্টা করুন, আজ থেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২০
এসআইএস