ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

করোনাকালে তেজপাতাকেও অবহেলা নয় 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
করোনাকালে তেজপাতাকেও অবহেলা নয় 

মহামারি করোনায় সংক্রমণের পরিমাণ প্রতিদিনিই বাড়ছে ভয়াবহভাবে। এসময় কখন যে কি কাজে লাগে, আগে থেকে বলা বেশ কঠিন।

এই যেমন করোনায় কাশি ও শ্বাসকষ্টে উপকার পাওয়া যায় রান্নার সুগন্ধি মশলা তেজপাতা থেকে।

কাশি ও শ্বাসকষ্টে কীভাবে পাওয়া যায়? কাশি হলে তেজপাতা পরিষ্কার করে তেল মেখে একপাশে আগুন লাগিয়ে সেই ধোয়া ভাপের মতো নিলেই কমে যাবে কাশির তীব্রতা। কাশি কমানো ছাড়াও ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল’ উপাদান সমৃদ্ধ তেজপাতা আরও অনেক উপকারে আসে।  
জেনে নিন উপকারিতা 

- খুশকি ও চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে বিপাকে আছেন? চুলের যত্নে তেজপাতায় রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কয়েকটি তেজপাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করুন।

কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার এ পানি দিয়ে চুল ও স্কাল্প ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই শ্যাম্পু করার পর এটি করবেন।  
ঠাণ্ডা ও কাঁশির সমস্যায় ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে ৪-৫টি তেজপাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। পানি কুসুম ঠাণ্ডা করে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে বুক মুছুন। কয়েকবার এটি করুন। আর খেয়াল রাখবেন পানি যেনো খুব বেশি গরম না হয় 
- একটি প্যানে ২ কাপ পানিতে ৫টি শুকনো তেজপাতা নিয়ে ঢেকে জ্বাল দিন। এরপর ঢাকনা খুলে ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে একটি সসপ্যানে নামিয়ে নিন। একটি তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ সসপ্যানটি ঢেকে ভাপ আপনার ত্বকে নিন। এভাবে মিনিট দশেক ভাপ নিলেই ব্রণ ও রিংকেল সমস্যা দূর হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দু’বার করুন।  

- কোষ্ঠকাঠিন্য? তেজপাতা আপনার স্বাভাবিক হজমশক্তি ফিরিয়ে আনবে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যা কমায় ও হজম রস তৈরিতে এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।  

- তেজপাতায় রয়েছে রুটিন ও ক্যাফেক অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো হার্টের দেওয়ালকে মজবুত করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।  

- তেজপাতা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি যেকোনো ধরনের মাথা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা এমনকি বাতের ব্যথা উপশমে কার্যকরী।  

- যদি দিনের শেষে আপনার মন-মেজাজ ভালো না লাগে তাহলে এক কাপ তেজপাতার চা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি স্নায়ু শান্ত করে ও উদ্বিগ্নতা কমায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২১
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।