ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বিষণ্ণতা হচ্ছে মনের ক্যান্সার!

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
বিষণ্ণতা হচ্ছে মনের ক্যান্সার! ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর ১২১ মিলিয়ন মানুষ ক্রনিক বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনে ভুগছে বলে জানা গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষায় ৷ এ ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে৷

ডিপ্রেশন নিয়ে জার্মানির মনস্তাত্তিক ড. মোনিকা সাইস ভন হাইডেব্রান্ট বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি সঙ্গে বাড়ছে বেকারত্ব৷ ফলে পরিবারকে আগের মতো সাপোর্ট করতে পারছেন না তারা৷ এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে৷

তিনি বলেন, যারা মানসিক রোগের শিকার তারা সাধারণত নিজেদের একটি কাঁচের বাক্সের মধ্যে বন্দি হিসেবে মনে করেন৷ বাইরের এ সুন্দর জগত দেখতে পেলেও, কিছুতেই যেন তারা তার সঙ্গে নিজেদের মানাতে পারেন না৷ কোন কিছুই যেন তাদের মনে দাগ কাটতে পারে না৷ কোন কিছুতেই কোন উচ্ছ্বাস ও আনন্দ পায় না৷ এমনকি দুঃখও পায় না৷ কেমন যেন একটা আবেগহীন অবস্থা সেটা৷ বড় একা ও নিঃসঙ্গ হয়ে যায় তারা৷

এই আবেগহীন ব্যক্তিদের আবেগকে প্রভাবিত করতে মনস্তাত্তিক ড. হাইডেব্রান্ট বলেন, এর জন্য প্রথমেই আমরা তাদের মূল সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করে থাকি৷ বলি যে আপনি যদি সারাদিন বিছানাতে শুয়ে কাটান, তাহলে আপনাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যেও একটা নেতিবাচক দিক চলে আসবে৷ তাই আমরা তাদের ইতিবাচক কাজকর্মের জন্য বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উৎসাহ দেই৷ তারা যদি সে কাজ করতে সক্ষম হয়, তবে তারা নিজেরাই বুঝতে শুরু করে যে এই পৃথিবী এতো ঘোলাটে, এতো কৃষ্ণবর্ণ নয়৷ আর এটা যদি করা যায়, তবে ধীরে ধীরে তারা চিন্তার সেই নেতিবাচক বৃত্ত থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে৷

এই নিঃসঙ্গতা তাদের বাধ্য করে নিজেকে সমাজ-সংসার, বন্ধু-বান্ধব থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে ও বাধ্য করে নিজ ক্ষতি সাধন করতে৷ আত্মহননের পথ বেঁচে নিতে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই সমীক্ষাটিতে দেখা যাচ্ছে যে, বছরে প্রায় দশ হাজার জার্মান বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ৷ যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ডিপ্রেশনের শিকার৷

ডিপ্রেশনের রোগীদের মধ্যে পুরুষের চাইতে নারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি৷ শতকরা ২৮.৭ পুরুষ এবং ৩৯.৭ শতাংশ নারী ডিপ্রেশনে ভুগছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বীমা প্রতিষ্ঠান৷

এ বিষয়ে মনরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুরুষের তুলনায় মহিলারা ডিপ্রেশন সম্পর্কে একটু বেশি সচেতন৷ তাই পুরুষের তুলনায় মেয়েরাই বেশি আসে সাহায্যে নিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।