আজকাল ভুড়িসহ পেট, ফোলা গাল, বাড়তি ওজনে কেউ থাকতে চাই না। শরীর ও সুস্থতা নিয়ে যাদের কিছুটা সামথ্য ও সচেতনতা রয়েছে তারাই ফিট থাকতে চেষ্টা করেন।
অনেকেই নিজের মতো করে ব্যায়াম করেন। কেউ কেউ আবার জিমেও যান। যারা নতুন করে জিমে যাওয়ার চিন্তা করছেন, আগেই কিছু বিষয় জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওজন কমানোর জন্য মন দিয়ে ডায়েট, শরীরচর্চা করতে হবে ঠিকই কিন্তু তাই বলে প্রথম থেকেও অতিরিক্ত ওজন তোলা, খুব বেশি ডাম্বেল এক্সারসাইজ কিংবা প্রায় কিছুই না খেয়ে থাকা এগুলো কিন্তু একদম ঠিক নয়।
জিমে গিয়ে প্রথমে ক’দিন ফ্রি হ্যান্ড, স্ট্রেচিং এসব বেশি করে করুন। ধীরে ধীরে ওয়েট ট্রেনিং ট্রেনারের পরামর্শ নিয়ে ওজন তুলতে হবে। ওয়েট লিফটিংয়ের বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। নিয়ম না মেয়ে ওয়েট তুললে পেশির ক্ষতি হয়।
প্রতিদিন কত ক্যালোরি বার্ন হচ্ছে তার হিসেব রাখুন। সামনের ৩ দিনে কত ক্যালোরি পোড়াতে চান এটা আগেই ঠিক করে নিন। সেভাবেই সময় নিয়ে বিভিন্ন ব্যায়ামের সংখ্যা বাড়ান।
প্রতিদিন খাবারের মধ্যেও সমতা বজায় রাখতে ডায়েট মেনে চলুন। শরীরের জন্য ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনও প্রয়োজন ফল আর সবজির পাশাপাশি। এজন্য খাবারের তালিকা একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করে নিন।
জিম করলেই তিন দিনে ওজন কমে যাবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তাই তিন থেকে সাত দিন পরই হতাশ না হয়ে ধৈর্য রেখে জিম করতে হবে। মনে রাখতে হবে জিম শুধু সিক্সপ্যাক ফিগারের জন্যই নয়, সুস্থতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
একটানা অন্তত তিনমাস ডায়েট, শরীরচর্চা করলে ওজন যেমন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে তেমনই বডি খানিক টোনড হবে। জিম করা, ডায়েট মানার সঙ্গে সঙ্গে লাইফস্টাইলেও বদল আনতে হবে যদি প্রয়োজন পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
এসআইএস/জেডএ