ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বিয়ে করছো না কেন! 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
বিয়ে করছো না কেন!  সংগৃহীত ছবি

বিয়ে আমাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। কিন্তু আমরা এটিকেই জীবন ভেবে নেই, আর সমস্যা হয় এখানেই।

‘বিয়ে করছো না কেন (!)’ একটা বয়সের পর এ কথা ছেলেদের যদি ১০ বার শুনতে হয়, তবে মেয়েদের শুনতে হয় ১০০০ বার!

আমাদের সমাজে মেয়েদের জন্য একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, ‘যত দিন ছাত্রী, তত দিনই পাত্রী’। আর কোনো মেয়ের পড়াশোনা শেষ কিন্তু এখনও বিয়ে হয়নি মানে তার আর বিয়ে হবে না।

মেয়ের নিশ্চয় কোনো সমস্যা আছে বা আরও ভয়ঙ্কর কিছু। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন অনেক আত্মীয় বা বন্ধুরা। এমনই ভুক্তভোগীদের একজন আদিবা, ভার্সিটি থেকে মার্স্টাস শেষ করে ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে জব করছেন।  

নিজের পুরো দায়িত্ব তো নিয়েছেনই পরিবারেরও অনেকটাই তিনি দেখেন। সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে কখনোই একাকীত্ব অনুভব করেন না আদিবা। তবে তার চারপাশের মানুষের মাথার বোঝা হয়ে গেছে, কেন আদিবার বিয়ে হচ্ছে না? পরিচিত জনদের সঙ্গে দেখা হলেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই কথা, বয়স হয়ে যাচ্ছে, এরপর আর বিয়ে হবে না। এসব শুনে শুনে আদিবার অবস্থা এমন হয়েছে, তার আর পারিবারিক বা সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানেই যেতে ইচ্ছে করে না।  

আদিবার মতোই যাদের অবস্থা, তাদের জন্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এক প্রতিবেদনে, বিয়ে বিষয়ক প্রশ্নের বেশ কিছু উত্তরের আইডিয়া দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নকর্তা ও স্থান বুঝে কিন্তু উত্তরগুলো দিতে হবে।  

প্রশ্ন কর্তা যখন বন্ধু, তাকে হাসতে হাসতে বলে দিন, গত ২০ বছর ধরেই তো মনের মতো একজনকে খুঁজছি, পাচ্ছি কই! আমার হয়ে কাজটা একটু করে দাও না। এটাও বলা যায়, কেন আমার স্বাধীন আর ঝামেলাহীন জীবন দেখে কি তোমার হিংসে হচ্ছে? 

হন যদি পাশের ফ্লাটের আন্টি বা দূর সম্পর্কের আত্মীয়, তবে উত্তর দিতে হবে একটু ভেবে, সুন্দর করে বলুন আসলেই আন্টি আপনারাই তো আমার অভিভাবক, কত ভাবেন আমাকে নিয়ে। আমি তো বিয়ের বিরুদ্ধে নই, দেখা যাক...আপনারাও দেখেন।   

আরও যা বলা যায়...
আমাকে দেখে কি অসুখী মনে হচ্ছে অথবা তুমি চিন্তা করো না, গিফট রেডি করো, যে কোনো দিন দাওয়াত পাবে।  

কথা হচ্ছে যাই বলবেন, বলতে হবে রাগ না করে, আর অবশ্যই আঘাত না দিয়ে।  

একা থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্ত আপনার। জীবনটাকে নিজের মতো করে গোছানোর জন্য যদি একটু সময় নিতেই হয়, তো নিন। তবে সব সময়ই নিজের পরিবারের কথাও মাথায় রাখুন, যেন আপনার কারণে বাবা-মা আর ভাই-বোন কোনো কষ্ট না পান।  

অন্যরা কী ভাবছেন এটা ভাবার জন্য ফ্রি সময় থাকলে ভাবুন। তবে ভালো হয় যদি ব্যস্ত থাকেন আর এসব নিয়ে ভাবার মতো সময় হাতে কম থাকে।  

জীবনের প্রতিটি দিন সুন্দর একে উপভোগ করতে শিখুন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।