ঢাকা: প্রতিটি মেয়েরই ঋতুচক্রের সঙ্গে কিছু শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলোকে বলে প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম (পিএমসএস)।
এসব প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোমের কারণে নারীদের মধ্যে বিরক্তিভাব, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা ও দুর্বলতা আসে।
কেন হয়
এত বছরের গবেষণার পরও পিএমএসের সঠিক কারণ কী তা জানা যায়নি। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি বংশগত বলে ধারণা করা হয়।
পিরিয়ড শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে নারীদের দেহে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের অনুপাতের তারতম্য ঘটে। ফলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ সময়ে সেরেটোনিন ও অ্যান্ডোরফিন হরমোনোর নিঃসরণও কমে যায়। বিভিন্ন হরমোনের এই তারতম্য প্রাক-ঋতুকালীন উপসর্গের অন্যতম কারণ।
উপসর্গ
• তলপেট, পিঠ, কোমর, উরু ও জয়েন্টে ব্যথা।
• ব্রণ
• স্তনে ব্যথা
• পেটে সমস্যা
• ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
• নিদ্রাহীনতা
• ওজন বেড়ে যাওয়া
• বমিভাব
• মানসিক অবসাদ, মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া ইত্যাদি।
সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে, বিশোর্ধ্ব নারী ও মেনোপজের আগে পিএমএসের লক্ষণ দেখা দেয়। তবে যেকোনো বয়সের নারীরাই পিএমএসে আক্রান্ত হতে পারেন। যদি কারও প্রতিবার অর্থাৎ, প্রতিমাসেই এসব উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে ভালো গাইনিকোলোজিস্টের পরামর্শ মেনে চলুন।
সুস্থতা
যেহেতু মানসিক সুস্থতার সঙ্গে পিএমএসের এরটা সংযোগ রয়েছে সেহেতু বলা যায় দুশ্চিন্তা, ভয় ও মানসিক অবসাদ দূর করে পিমএস নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। সেসঙ্গে সঠিক খাবারের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।
পিরিয়ড চলাকালীন খাদ্যতালিকায় টকদই, মাছ, ছোলা, আদার রস, রসুন, দুধ, আঙুর, কলা, বাদাম, ডার্ক চকলেট, সবুজ পাতাযুক্ত সবজি ও প্রচুর পানি রাখুন। সুস্থ থাকতে এসময়ে প্রয়োজন হয় প্রিয় মানুষগুলোর সহযোগিতাও সহানুভুতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২২
এএটি