ঢাকা: রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কড়া নিরাপত্তা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর বাইরেও দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড় থেকে কাউকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পল্টনকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই পুলিশের নিরাপত্তা বলয় তৈরি হয়েছে।
নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং কার্যালয় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত চার শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে নাশকতা হতে পারে- এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার। এমন শঙ্কার কারণেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএনপির দলীয় কার্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। ভিআইপি রোডের দুই পাশেই ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। বিশেষ প্রয়োজনে পথচারীদের এই পথে যাতায়াত করতে দেখা গেলেও গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের ছাড়া কাউকেই সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়নি।
বন্ধ রাখা এই সড়কের দুই পাশের পাড়া-মহল্লা থেকে মূল সড়কে ওঠার গেটগুলোও ব্যারিকেড দিয়ে রাখা। ব্যারিকেডে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার সাংবাদিকদের জানান, শঙ্কা রয়েছে বলেই রাস্তা বন্ধ রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপদ মনে হলে খুলে দেওয়া হবে। সমাবেশ করে বিএনপির সবাই চলে না যাওয়া পর্যন্ত পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।
বেলা ১১টার দিকে নয়া পল্টনের সার্বিক নিরাপত্তা পরিদর্শনে আসেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এ সময় তিনি বলেন, পুরো ঢাকা শহরে আমাদের অনেক সদস্য কাজ করছেন। ঢাকার প্রতিটি এলাকায় আমাদের পুলিশ ঘোরাঘুরি করছে। কোথাও কোনো ঝামেলা নেই। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলাচল করছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, এই সমাবেশকে ঘিরে প্রায় ২০ হাজারের মতো পুলিশ সদস্য ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছেন। আমরা মনে করি, প্রোগ্রামটি সুন্দরভাবে সমাপ্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
ইএসএস/এইচএমএস/আরএইচ