ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সহায়তা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সহায়তা

মৌলভীবাজার: কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।

এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আর্থিক  সহায়তা প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। কিন্তু ততক্ষণে ৫টি ঘর পুড়ে চাই হয়ে যায়। বিদ্যুতিক শটসার্কিটে এ অগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের কৃষক হোসেন আলীর রান্নাঘর থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেখান থেকে আগুন বৈদ্যুতিক তারে গেলে আগুন মুহূর্তের মধ্যে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।  

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পুড়ে যাওয়া আগুনের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন। এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ তরফদারের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকার টেউটিন ও নগদ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত হোসেন আলী বলেন, আগুন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আমরা এখন কীভাবে বাঁচবো। মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, আগুনে ৫টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার ফারুক আহমেদ জানান, আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত আমাদের ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। ঘণ্টাব্যাপি আমরা কাজ করি সাথে স্থানীরা আমাদের সহযোগীতা করেন। একই পরিবারের ৫টি ঘর একবারে পুরে চাই হয়ে যায়। বিদ্যুতিক শটসার্কিটে এ আগুনের সুত্রপাত। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন জানান, আমরা পুড়ে যাওয়া হোসেন আলীর ঘর পরিদর্শন করেছি। আগুন লেগে ৫টি ঘর পুড়ে চাই হয়ে যায়। এতে গবাদি পশুপাখীসহ পুড়ে যায়। আমি উপজেলা প্রশাসন থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা সহযোগিতা করেছি। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক থেকে তাদের ঘর তৈরি জন্য আসবাপত্রসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

তিনি আরও জানান, পুড়ে যাওয়া ঘরের একটি মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে সেই মেয়ের বইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে যায় আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সেই মেয়ের পড়াশোনার জন্য বই ও কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিব।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।