ঢাকা: দেশে নানা ধরনের অপশক্তির অপতৎপরতা আছে। দেশি-বিদেশি এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে যেসব স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সক্রিয় ছিল, নবপ্রতিষ্ঠিত স্বাধীন রাষ্ট্রকে বিনষ্ট করার জন্য যে ধরনের অপপ্রয়াস ছিল, নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল, ২০২২ সালে এসেও আমরা লক্ষ্য করছি যে কতিপয় অপশক্তি দেশে এবং বিদেশে সেরকম ষড়যন্ত্র করছে। যেসব অপশক্তি আমাদের মহান বিজয় দিবস, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শনের আলোকে যে বাংলাদেশ বিনির্মিত হচ্ছে, তার গতিধারাকে যারা রুদ্ধ করতে চায়, সেই সকল অপশক্তিকে রুখে দেওয়ায় আজকের দিনে আমাদের প্রত্যয় হওয়া উচিত।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এসব কথা বলেন ঢাবি ভিসি। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মো. আক্তারুজ্জামান।
সাভারে অবস্থানরত অবস্থায় ঢাবি উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, সম্মিলিতভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠছে। সামনের দিনগুলোয় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ ও অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানোয় আমাদের প্রতিজ্ঞা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, সম্মিলিতভাবে বঙ্গবন্ধুর যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আলোকে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এই বিজয় দিবসের মূল প্রত্যয়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অবস্থানকালে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তার মতো দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক অবস্থানে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, জাতি ও মানুষের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
এইচএমএস/এসএফ/এমজে