ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রেডকিন মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাঞ্জলি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
রেডকিন মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাঞ্জলি

ঢাকা: রুশ নাবিক ইউরি রেডকিনের জন্মদিনে চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে লালদীঘিতে অবস্থিত রেডকিন মেমোরিয়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, স্থপতি আলা ইমরান, সোভিয়েত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সদস্য প্রদীপ দত্ত, মনজুর আলম, তানভীর আহমেদ জুয়েল, বিপ্লব ভট্টাচার্য, আব্দুল কাদের এবং রবিন গুহ এই পুষ্পস্তবক অর্পণ  করেন।

ইউরি ভিকতোরোভিচ রেডকিন (১৯৫১-১৯৭৩) ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একজন নাবিক। তার নাম বাংলাদেশের সঙ্গে ওতেপ্রাতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কর্ণফুলী নদীর চ্যানেল ও চট্টগ্রাম বন্দর প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধে পরাজিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে অসংখ্য মাইন পুঁতে যায়। দেশ স্বধীনের পর চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল করার তীব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশমুখে ছিল অসংখ্য ভাসমান মাইন এবং নিমজ্জিত জাহাজ। এ কারণে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মস্কো সফরকালে ১৯৭২ সালের ২ মার্চ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকারের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল করার জন্য সহযোগিতা চান। এতে সাড়া দিয়ে তৎকালীন সোভিয়েত সরকার সম্পূর্ণ তাদের নিজ অর্থায়নে ডুবোজাহাজ ও মাইন অপসারণে সম্মত হয়। এরপর অ্যাডমিরাল সার্গেই পাভলোভিচ জুয়েঙ্কার নেতৃত্বে ২২টি জাহাজ ও ৮০০ নৌ সেনা ডুবোজাহাজ ও মাইন অপসারণের কাজ শুরু করে। ২ এপ্রিল ১৯৭২ থেকে ২৪ জুন ১৯৭৪ পর্যন্ত এই অভিযানে সোভিয়েত নৌবাহিনীর নাবিক এবং ডুবুরিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইন এবং ডুবন্ত জাহাজ মুক্ত করে সচল করে দেন।

২৪ জুন ১৯৭৪ সব সোভিয়েত সেনা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করলেও একজন সিনিয়র নাবিক ফিরে যেতে পারেননি। তিনি হলেন ইউরি ভিকতোরোভিচ রেডকিন। মাত্র ২২ বছর বয়সি রেডকিন ১৯৭৩ সালের ১৩ জুলাই মাইন অপসারণ করতে গিয়ে মারা যান। কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে রয়েছে তার সমাধি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
টিআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।