ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় স্বর্ণের দোকানে চুরি, ৯ চোর গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
পাবনায় স্বর্ণের দোকানে চুরি, ৯ চোর গ্রেফতার

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদীতে স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় ৭২ ঘন্টার অভিযানে আন্তঃজেলা চোর ও ডাকাতচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।  

এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা ছয় ভরি স্বর্ণ, ৫০ ভরি রুপা, স্বর্ণ বিক্রির ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকাসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্চাম উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেফতাররা হলেন, বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের ডাকাত সর্দার শহিদুল হাওলাদার (৪৯), একইগ্রামের আব্দুল মালেক (৪০), বাবুল হাওলাদার ওরফে ভারানী বাবুল (৫২), বাবুল হাওলাদা ওরফে বোকদা বাবুল (৫০), নাটোর সদর উপজেলার পারখোলাবাড়িয়া গ্রামের সাঈদ আলী (৫৭), একই উপজেলার হৈবতপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন (৩৭), বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মোরশেদ সড়ক শেহলাবুনিয়া গ্রামের রুস্তম আলী শেখ (৬০), শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের শান্ত মিস্ত্রি (২০) ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাবুল কুলু (৫৩)।

২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশী।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৯ নভেম্বর রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া বাজারে মল্লিকা জুয়েলার্স নামের এক স্বর্ণের দোকানে চুরি সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর থানায় মামলার পর অভিযানে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমসহ ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তারা টানা তিনদিন অভিযান চালিয়ে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট, নাটোর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর ও ডাকাতচক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  

তিনি জানান, গ্রেফতারদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে ডাকাত সর্দার শহিদুলের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ ১০টি, মালেকের নামে ৭টি, ভারানী বাবুলের নামে ১০টি, বোকদা বাবুলের নামে ৮টি, সাঈদের নামে ৩টি, জালালের নামে ৩টি, রুস্তমের নামে ৩টি মামলা রয়েছে।  

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী আরও তথ্য দেন , প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা চোর ও ডাকাতচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সাধারণত কোনো এলাকায় চুরি সংঘঠনের আগে সেই এলাকায় অবস্থান করে। এরপর পরিকল্পনা মাফিক চুরি করে এলাকা ত্যাগ করে। স্থানীয় কারও সঙ্গে তাদের যোগাযোগও থাকে না। তারা মূলত: দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের দোকান চুরি-ডাকাতি করে। তাদের অপরাধের ধরন প্রায় একই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।