ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করেছে সরকার: প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করেছে সরকার: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ‍্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করে। করোনায় কিছুটা সমস্যা হলেও সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করতে সরকার সক্ষম হয়েছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) যশোরের মনিরামপুরে ডিজিপিএস বিকন স্টেশন পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথগুলো নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট প্রণয়ন, নৌসহায়ক যন্ত্রপাতি স্থাপন ও ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ‍্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) স্যাটেলাইট ভিত্তিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (ডিজিপিএস) স্টেশন আরও স্থাপন করা হবে। বর্তমানে তিনটি ডিজিপিএস স্টেশন রয়েছে।

তিনি বলেন, ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের লক্ষ‍্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। করোনায় কিছুটা সমস্যা হলেও সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বিআইডব্লিউটিএর ৪১টি নদীবন্দর আপগ্রেড করা হচ্ছে। শুধু বিআইডব্লিউটিএ'র আপগ্রেড নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে সমগ্র বাংলাদেশ আপগ্রেড হয়েছে। আজ মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ‍্যমে বাংলাদেশ আরেক উচ্চতায় চলে গেল। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। ২০১৪ সালে দারিদ্রতাকে জয় করেছি। ২০২৬ সালে মধ‍্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা নদীর প্রবাহ ও নৌপথ সচল রাখতে চাই। কেউ যাতে নদীর ক্ষতি, দখল ও দূষণ করতে না পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাগরণ তৈরি করেছেন। নদী-নালা, খাল-বিল রক্ষায় দেশের মানুষ ঐক‍্যবদ্ধ।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী নওয়াপাড়া নদীবন্দর টার্মিনাল ভবনে ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উন্নয়নে সাড়ে তিনশ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নওয়াপাড়া নদীবন্দর সচল রাখতে বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত ড্রেজিং করছে। অনেক চ‍্যালেঞ্জ আছে। সমীক্ষা করে ব‍্যবস্থা নেবো। নওয়াপাড়া শিল্প এলাকাকে বাঁচাতে চাই। ভৈরব নদীকে রক্ষা করতে চাই। সেতু তৈরি করে নদীকে হত‍্যা করতে দেওয়া হবে না। নদীতে সেতু তৈরিতে বিআইডব্লিউটিএ'র হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।

স্টেশন পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম‍্যান গোলাম সাদেক, মনিরামপুর পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, বিআইডব্লিউটিএ'র হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের পরিচালক সামসুন নাহার বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।