ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

পণ্য বিক্রির ফাঁদে অপহরণ-হত্যা, লাশ পড়ে মেঘনায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২২, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
পণ্য বিক্রির ফাঁদে অপহরণ-হত্যা, লাশ পড়ে মেঘনায়

ঢাকা: রাজধানীর চকবাজারে প্লাস্টিকের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে চকবাজার থানা পুলিশ।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- নুরুজ্জামান হাওলাদার, আ. আজিজ শিকদার, হাফেজ চৌকিদার ও দেলোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে দেলু।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার।

তিনি বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর প্লাস্টিকের কাঁচামাল ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদারের নিখোঁজের বিষয়ে চকবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। পুলিশ তদন্তে নেমে জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলমের সর্বশেষ অবস্থান বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় নিশ্চিত করে।

বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার প্লাস্টিকের পণ্য কিনে রিসাইকেল করে বিক্রি করতেন। আর সেই প্লাস্টিকের পণ্য বিক্রির ফাঁদে ফেলে জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদকে বরিশালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, তার পূর্ব পরিচিত দেলোয়ার হোসেন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি তাকে অল্পদামে প্লাস্টিকের কাঁচামাল কেনার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী গত ১৪ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া ঘাটে যান।

এর তিনদিন পর বরিশালের মুলাদি ও ইলিশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জুয়েল ও তার কর্মচারী মোর্শেদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের বাবা ডিএমপি চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে ব্যবসায়ী জুয়েল শিকদার ও তার কর্মচারী মোর্শেদ আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে বরিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার জানান, অপহরণকারীরা পরস্পরের যোগসাজসে দুইজনকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যায়। পরে তাদের মাছ ধরার ট্রলারে উঠিয়ে মেঘনা নদীর মাঝামাঝি নিয়ে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমদের চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে গলাটিপে মৃত্যু নিশ্চিত করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।

গ্রেফতাররা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র। তারা এর আগেও এ ধরণের অপরাধ সংঘঠিত করেছে। তাদের রিমান্ডে এনে এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
পিএম/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।