ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৬ ও ৭ জানুয়ারি ঢাকা অভিমুখী রোডমার্চ ঐক্যমোর্চার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
৬ ও ৭ জানুয়ারি ঢাকা অভিমুখী রোডমার্চ ঐক্যমোর্চার ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি সারাদেশ থেকে ঢাকা অভিমুখী রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করবে সংখ্যালঘুদের ৩৩টি সংগঠন নিয়ে গঠিত 'সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা'। ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগে জমায়েত হবেন তারা।

এদিন বিকাল ৪টায় পায়ে হেঁটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করবেন মোর্চার নেতারা।

বুধবার (৪ জানুয়ারি)আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মোর্চার নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় এবং অস্তিত্বের সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই গত বছরের শুরু থেকে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখী রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগে জমায়েত হয়ে বিকাল ৪টায় পায়ে হেঁটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করবেন তারা।

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচন ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল তার মধ্যে রয়েছে- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্যবিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমতলের আদিবাসীদের জন্য স্বতন্ত্র ভূমি কমিশন গঠন। এছাড়াও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি আমাদের রয়েছে।

এ সময় তিনি সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের নেতাদের তাদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ ও নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, সুব্রত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী প্রমুখ।

সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার মধ্যে থাকা সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট (প্রভাষ-পলাশ), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট (সোনালী-রায়), জগন্নাথ হল এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন, স্বজন, বাংলাদেশ মাইনোরিটি সংগ্রাম পরিষদ, শ্রী শ্রী ভোলানন্দ গিরি আশ্রম ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, মাইনোরিটি রাইটস্ ফোরাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ঋষি পঞ্চায়েত ফোরাম, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, অনুভব, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ রবিদাস উন্নয়ন পরিষদ, আন্তর্জাতিক রবিদাস উন্নয়ন পরিষদ, শারদাঞ্জলী ফোরাম, সম্মিলিত সনাতন পরিষদ, সনাতন সংগঠন, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট, বাংলাদেশ লইয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বাংলাদেশ হিন্দু সেবক সংঘ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।