ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৪৩ হাজার কৃষদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
৪৩ হাজার কৃষদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ

কুষ্টিয়া: দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করছে সরকার। প্রণোদনায় কৃষকদের বিনামূল্যে  সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি এ প্রণোদনার আওতায় ৪৩ হাজার কৃষককের মধ্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

বিনামূল্যে এ সার-বীজ কৃষকরা দেওয়ায় ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা কৃষক ও কৃষি বিভাগের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কুষ্টিয়া জেলার এবার সরকারি প্রণোদনার আওতায় বিভিন্ন ফসলের উপরে ৪৩ হাজার ১৮৮জন কৃষককের মধ্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।

এর মধ্যে খরিপ-২ মৌসুমে মাসকলাই উৎপাদনের জন্য ১ হাজার ৬২৮ জন এবং গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ চাষের জন্য ১২০০ কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

রবি মৌসুমে প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে- গম বীজ ও সার ৮ হাজার, সরিষা ২৫ হাজার ৫০০, পেঁয়াজ ৪১০, ভুট্টা ৪হাজার ৫০০, সূর্যমূখি ১ হাজার ৪০০, চিনা বাদাম ৯০০, মুগ ১ হাজার ৫০০ মসুর ১হাজার ৭৫০ এবং খেসারির বীজ ৪০০ জনকে দেওয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কৃষক ইয়ার আলী জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরিষার বীজ ও সার পেয়েছিলাম। এবার তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি বেশ ভালো ফলন হয়েছে এবার।

মিরপুর উপজেলার সদরপুর এলাকার কৃষক মাসুম জানান, সরকারি প্রণোদনায় বীজ ও সার পেয়েছি। এ বছর আমি সরিষা চাষ করেছি। বিগত বছর যেখানে তামাক ছিলো।

আমলা ইউনিয়নের কৃষক মারজুল হোসেন জানান, এ বছর কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমুখি ফুলের বীজ ও চাষের জন্য সার পেয়েছি। তা দিয়ে ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখির আবাদ করেছি।

উপজেলার কিপাত আলী, আজিজুর রহমান, সামসুল আলম, মনিরুল ইসলাম, জাহিদুল হক, মহিবুল ইসলামের মতো অনেক কৃষক এ বছর সরকারি প্রণোদনায় প্রাপ্ত বীজ থেকে সরিষার আবাদ করেছেন।

মিরপুর, দৌলতপুর উপজেলার মতো কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার প্রায় ৪৩ হাজার কৃষক এবার প্রণোদনায় গম, সরিষা, সূর্যমুখি, ভুট্টা, পেয়াজ, মুগ, চিনাবাদাম, মুগ, মসুর, খেসারিসহ বিভিন্ন রবি শস্যের আবাদ করছেন।

সদর উপজেলার কৃষক তৈয়ব আলী জানান, ধান কাটার পরে চাষ ছাড়াই জমিতে সরিষা বপন করা যায়। সরিষায় খরচ খুবই কম আর সময়ও কম লাগে। সরকারি সার ও বীজ পাওয়ায় আমাদের এলাকায় সরিষা চাষ বেশি হচ্ছে। সরকার আমাদের মতো সাধারণ কৃষকদের জন্য সদয় হয়েছে। এতে আরও চাষবাদ বেশি হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, সরকারি প্রণোদায় কৃষকরা বেশ উপকৃত হচ্ছে। এ বছর সরিষা ও ভুট্টার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এবার সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবি শস্যের চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ জানান, জেলা জুড়ে ৪৩ হাজার কৃষক ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি প্রণোদনায় আওতায় বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার পেয়েছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা এ সব বীজ দিয়ে মাঠে চাষাবাদ করছেন। বিনামূল্যে এ সব বীজ ও সার পাওয়ায় কৃষকরা বেশ উপকৃত হয়েছেন। আগামীতে এ সব ফসলের আবাদ আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।