ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন, অনির্বাচিত সরকার আর হবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন, অনির্বাচিত সরকার আর হবে না

ঢাকা: বিরোধী জোটের 'নির্বাচনকালীন সরকার' দাবি নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দয়া করে অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন, এটা আর জীবনেও হবে না।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।

এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন যারা দেখছেন সে দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসবেন দয়া করে। এটা আর জীবনে হবে না। আর ক্ষমতায় যাবার ইচ্ছে যাদের, আসেন নির্বাচন করেন। জনগণ যাদের মেনে নেবে তারাই ক্ষমতা যাবে। এখানে আওয়ামী লীগ কোনো দিন হস্তক্ষেপ করবে না, করেও না।

তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকার তো আমরা দেখেছি, একবার না বারবার; আমরাই আন্দোলন করে কেয়ারটেকার এনেছিলাম। তার ফলাফলটা কি দাঁড়িয়েছিল সেটাও আমরা দেখেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু লোক বলে যাচ্ছেন যে, দুই তিন বছর অনির্বাচিত সরকার থাকলে, ক্ষতিটা কি? এতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? এটা কোন ধরনের কথা। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার আসবে, যার জন্য আমাদের এত সংগ্রাম, এত আত্মত্যাগ, এত জেল-জুলুম অত্যাচার পর্যন্ত সহ্য করেছি। সেই গণতন্ত্র যখন ফিরিয়ে এনেছি, অব্যাহতভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই আজকে দেশের উন্নতিটা মানুষের কাছে দৃশ্যমান।

তিনি আরও বলেন, যারা বলে অনির্বাচিত সরকার থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন মহাভারত হয়তো তাদের কাছে অশুদ্ধ হবে না, কিন্তু আমাদের সংবিধান? যে সংবিধান জনগণের অধিকার সুরক্ষিত করেছেন সেই সংবিধানকে বাদ দিয়ে অনির্বাচিত সরকার যারা আনতে চান তারা কি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন? তারা কি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন? তারা কি জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করেন?

সাম্প্রতিক ছয়টি উপ-নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছয়টি উপ-নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সক্ষমতা রাখে।

আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুশিয়ার করে সরকার প্রধান বলেন, যত মিছিল, মিটিং করতে চান আমরা করতে দিচ্ছি। তবে জনগণের জান-মাল রক্ষা করা, জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া এটা আমি আমাদের কর্তব্য মনে করি।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কেউ কিছু বলবে না; কিন্তু কোনো রকম অরাজকতা, সন্ত্রাস, ভাঙচুর, কোনো ধরনের জঙ্গিবাদী কাজ করতে গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে; এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
এমইউএম/এসকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।