ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নয়নকে টেকসই করার লক্ষে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
উন্নয়নকে টেকসই করার লক্ষে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী 

ঢাকা: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করার লক্ষে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তা মোকাবিলা করে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তর করা।

 


বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে “An Investigation on the Causes of Embankment Failure and Recommendations for Sustainable Solutions (CEF Project)’’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়তে কাজ করছে বর্তমান সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নদীভাঙ্গন হতে রক্ষায় নিবিরভাবে কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীতীর/বাঁধ ভাঙ্গন বাংলাদেশে অতি পরিচিত বিষয়। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে এসব বাঁধ ভাঙ্গছে। এছাড়াও এসব বাঁধ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, উপযুক্ত গুণাগুণ সম্পন্ন মাটির অপর্যাপ্ততা, সঠিকভাবে খনন না করা, ইঁদুরের গর্ত, নদী ভরাট হয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়ে বর্ষাকালে বাঁধ ওভার টপিং হচ্ছে, জায়গার অভাবে যথাযথ স্লোপ অনুসরণ করতে না পারার কারণে বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মানবতা ও বাস্তুসংস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য নদীতীর রক্ষা বাঁধ ও সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, বিভিন্ন উপকারভোগীদের মতামত ডিজাইনে প্রতিফলন, বালু উত্তোলন এর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ, কোথায় এবং কি পরিমাণে ড্রেজিং করতে হবে সেটা হাইড্রো-মরফোলজিকাল স্টাডির মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। প্রচলিত নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজের পাশাপাশি ভবিষ্যতে  প্রাকৃতিক উপায় সমাধানই হ্রাস করবে ভাঙ্গন। এছাড়া বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব কেবল রাষ্ট্রের একার নয়। ওই এলাকার মানুষেরও বাঁধের প্রতি একটি আলাদা দায়বদ্ধতা রয়েছে। জনসাধারণ, রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তি ও সংস্থার সম্মিলিত প্রয়াসই পারে বাংলাদেশের নদীতীর ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলোর সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, মো. নূরুল ইসলাম সরকার, মহাপরিচালক পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রফেসর ড.আব্দুল জব্বার খাঁন, প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর বুয়েট।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।