ফরিদপুর: ফরিদপুরের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক কলেজ শিক্ষকসহ ২ জনকে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিপক্ষের লোকেরা।  

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- কলেজ শিক্ষক শাহিনুল ইসলাম (৫৬) এবং ইব্রাহিম মোল্যা শাওন (৩৫)। উভয়ের বাড়িই উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বেলজানি গ্রামে।

শাহিনুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় অবস্থিত কাজী সালিমুল হক মহিলা কলেজে অধ্যাপনা করেন। অপর আহত ইব্রাহিম মোল্লা শাওন একই গ্রামের রমজান মোল্লার ছেলে। শাওন ইট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

জানা যায়, ময়না ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের বেলজানি গ্রামের ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন ও হাজী রেজাউল করিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের শাহিন-কালাম-ফারুক গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ইউনিয়নের খরসূতি গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্ন একটি সেলুনে কলেজ শিক্ষক শাহিনুল ইসলাম ও ইব্রাহিম মোল্যা বসেছিলেন। এ সময় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনের পক্ষের ২০/২৫ জন লোক দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে আক্রমণ করে শাহিনুল ইসলামের দুই হাত-পা এবং ইব্রাহিম মোল্যার পা কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের সঙ্গে সঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাবরিনা হক রুম্পা বলেন, দুই জনের পায়েই গুরুতর জখম আছে। পায়ে ফ্রাকচার (অস্থিভঙ্গ) আছে কি-না জানার জন্য এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, অতর্কিত আক্রমণ করে ৫/৭ মিনিটের মধ্যে হামলাকারীরা চলে যান। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের আটকে অভিযান চলছে। হামলার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসআইএ