ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেতাগীতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
বেতাগীতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান সিকদার

বরগুনা: বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান সিকদারকে (২৮) পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ আহত ছাত্রলীগ নেতার।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা খেয়াঘাট এলাকায় হামলার শিকার হন মেহেদী হাসান সিকদার।

পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকেরা তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মেহেদী হাসান উপজেলা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে সভাপতি পদপ্রার্থী।

হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যার দিকে আকন বাড়ি খেয়াঘাট এলাকার একটি দোকানে এক লোকের সঙ্গে চা খাচ্ছিলাম। দোকানে লোকজন না থাকার সুযোগে রফিকুল ইসলাম রফিক ১০-১২ জন লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার উপর হামলা করে। তারা পাইপ ও দা দিয়ে আমার পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। এখান থেকে চিকিৎসকেরা আমাকে বরিশালে রেফার করে।  

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, রাজনৈতিক ঝামেলার প্রেক্ষাপটে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। আপনার অভিযোগটি তদন্ত করুন। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আপনারা যা খুশি তাই লিখবেন।

ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় দোকানদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা কেউই রফিকের উপস্থিতির কথা বলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।