ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নলডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে ২৪ বাড়ি পুড়ে ছাই, প্রশাসনের সহায়তা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
নলডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে ২৪ বাড়ি পুড়ে ছাই, প্রশাসনের সহায়তা

নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ২৪টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় নগদ অর্থ, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ধান, চাল, টিভি, ফ্রিজ, গোবাদি পশু, আসবাবপত্রসহ যাবতীয় মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।

এতে প্রায় অর্থ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।  

রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাঁশিলা উত্তরপাড়া গ্রামে এ আগুন লাগে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আগুন নেভাতে গিয়ে দুইজন নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসীর সহায়তায় নাটোর ফায়ার ব্রিগেডের দুইটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ম হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, মাধনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার মৃধা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা তদারকিসহ ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান।  

নাটোর ফায়ার স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক একে এম মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সাড়ে ৫টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার বাসিলা উত্তরপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের বাড়ির রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

ঘনবসতিপূর্ন কাঁচা ঘরবাড়ি হওয়ায় মুহূর্তেই পুরো গ্রামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে নাটোরের ২টিসহ রাজশাহীর বাগমারা ও নওগাঁর আত্রাই থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুড়ে যায় গ্রামের অন্তত ২৪টি বাড়ি।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তবে স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী ও প্রাথমিকভাবে রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সব কিছু পুড়ে গেছে। কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই।  

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত আফসার আলী, উজির আলি, উকিল, আব্দুল হাকিম জানান, প্রত্যেক বাড়িতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ, রসুন, গম মজুদ ছিল। কারো কারো বাড়িতে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিল যার কোনো চিহ্ন নেই। জমির দলিলসহ টিভি, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এখন তারা সবাই নিঃস্ব। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা ছাড়া কোন উপায় নেই। শুধু পড়নের কাপড়টাই আছে আর সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে রাত সাড়ে ১০টার সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪টি পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান ও নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার ঘটনাস্থলে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ খবর নেন। একই সঙ্গে মানবিক সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৫ হাজার করে টাকা, ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি করে ডাল, লবণ ও তেল, শুকনো খাবার এবং শোয়া-বসার জন্য দুইটি করে কম্বল দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।